পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মেয়ের কেউ কেউ সঙ্গে গেলেন-এতগুলি মেয়ে গেল, তবুও সুলোচনা এক श्रद्ध ख्रिंउ 5शेिढ न । বছর দুই এইভাবে নানা সুখদুঃখের ঘটনার মধ্য দিয়া কাটিয়া পরে ১৯০৮ সালে আমাদের বাসা উঠিয়া গেল। আমি কলেজের হোস্টেলে আশ্রয় লইলাম। সুলোচনাদের সহিত সম্পর্ক ঘুচিয়া গেল। আমার ছাত্রজীবনের বাকি বৎসর গুলির মধ্যে সুলোচনা বা তার মায়ের সঙ্গে চোখেব দেখাও নাই একদিনের জন্য । সতীশব্দকে আর কখনও দেখি নাই । ইহাদের না। দেখিবার কারণ ও যথেষ্ট ছিল, পুলিশের চাপেই বাসা উঠাইতে হইয়াছিল। তবে প্ৰকািশদার সম্বন্ধে বিশেষ ঘটনা এই যে, "আমার ছাত্র জীবনের তৃতীয় |ৎসরে প্রব শব্দ অদ্ভুতভাবে নিরুদেশ হইয়া গেলেন । অব কেহ কোনদিন তােহ কে দেখে নাই ; পূর্ববঙ্গের কোথাও স্বদেশী ডাকাতি কবিতে গিয়া পুলিশের গুলিতে মারা পডিয়াছেন, কয়েক বছর পবে বিশ্বস্তসূত্রে এ কথা g*नेश्न ४ि०, श । বছৰ পাঁচ-ছয় পরের কথা । কলেজ হইতে বাহির হইয়া কলিকাতার বাহিরে চাকুবি করি। কি একটা ছুটি উপলক্ষে হাওড স্টেশনে নামিয়া শয়ালদ’ দিযা বাডী ফিরিতেছি । তখনকার আমলে শেয়ালদহ নর্থ স্টেশন হয় নাই- যেখানে আজকাল নর্থ স্টেশনের সম্মুখে ভাডাটে গাডির আডিডা, ওখানে অনেক চা পান শরবৎ ইত্যাদির দোকান ছিল । একটি দোকানে • বাবৎ খাইতে গিয়াছি, দেখিলাম একটি ছোকরা এবং তাহার সহিত একটি সুবেশ রূপসী তরুণী সেখানে দাড়াইয়া ভঁাড়ে করিয়া, শরবৎ খাইতেছে। দু' একবার গোপনে মেয়েটির দিকে চাহিয়া দেখিলাম-বয়েস বাইশ-তেইশ হইবে -চোেখ যেন ফিরানো যায় না। তাহার দিক হইতে। না, অপূর্ব রূপসী বটে মেয়েটি। আমিই শুধু চাহিয়া নাই, আশেপাশের অনেকেরই দেখিলাম আমার দশা।) হঠাৎ আমাকে ভীষণ চমকিত ও আশ্চৰ্য করিয়া দিয়া তরুণী আমার একেবারে সামনে আসিয়া হাসিমুখে বলিল-আরে যদু-দা যে! বলিয়াই সে আমার পায়ের ধুলা লইয়া প্ৰণাম করিল। চিনিতে অবশ্য বিলম্ব হইল না, বলিলাম-সুলোচনা যে ! কোথা থেকে ? তোমার মা কোথায় ? কি করছ এখন ? $ ¢ ዓ