পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিবাহ হয় পাশের গ্রামে । স্বামীর বয়স তখন ত্রিশ-বত্ৰিশ, স্বামীর চেহারা ভাল ছিল না বলিয়া ছেলেমানুষ মেয়ে তার কাছে বড় একটা যাইতে চাহিত না। স্বামী ছিল মুর্থ ও গোয়ার প্রকৃতির লোক, আট বছরের স্ত্রীর উপর মাবধার ও নানা রকম অত্যাচার শুরু করে। ফলে, ওর মা দেশের জায়গা জমি বিক্ৰয় কপ্রিয়া মেয়ের হাত ধরিয়া কলিকাতায় আসিল-তখন সুলোচনার বয়স দশ বৎসব। উদ্দেশ্য, মেয়েকে লেখাপডা শিখাইয়া স্বাধীনভাবে থাকিবার কোন সুবিধা করিয়া দিবে। কিন্তু তখনকার কালে মেয়েদের লেখাপডা শেখা বা স্বাধীন জীবিকা উপার্জন প্রভৃতিকে লোকে ভাল চোখে দেখিত না । মা মেয়ের হাত ধরিয়া নানা জায়গায় বেড়াইল। হাতের পয়সা সম্পূর্ণ নিঃশেষ হইয়া গেল-কিন্তু বিশেষ কোন সুবিধা হইল না । এদিকে আরও নূতন উপসৰ্গ, মেয়ে অপূর্ব পপী, দশ বছবের হইলে কি হয়, তাহাকে দেখায় তোর-চৌদ্দ বছরেব মত -দুষ্ট লোকের চোেখ পডিল মেয়ের উপর । এক দিন সন্ধ্যাপোলা বাড়ী ফিরিয়া মা মেযেকে বলিল - চল আজ গঙ্গায় ডুবে মাধব দুজনে—এখানে আর কোন ও সুবিধে নেই-এবার মান যাবে। গবিবের কেউ নেই। মেয়ে তৎক্ষণাৎ রাজি ठूछ्रेल । রাত নটার সময় মেয়ে বলিল-কখন আমরা ডুবাব মা ? অন্নপূর্ণার ঘাটে ७ल श्रटि । মা বলিল-এখন ও সব ঘাটে লোক । এখন না, দেরি কর – স্বাত দশটার সময় মা মেয়ের হাত ধরিয়া বাগবাজারের অন্নপূর্ণার ঘাটে দিড়ি দিয়া নামিতে নামিতে চুপি চুপি জিজ্ঞাসা করিতেছে-হঁ্যা রে, পারবি ८डो ? दल अ*ि 6थक, পারবি তো ? মেয়ে এতটুকু ভয় খায় সাই । সে দৃঢকণ্ঠে বলিল-তুমি সঙ্গে থাকলে মা 意さ* সেই সময় যামিনী ঘোষ বলিয়া একটি ছোকরা, অফিসের কেরানী, ঘাটের কাছেই কোথায় বসিয়া হাওয়া খাইতেছিল। সে আসিয়া জিজ্ঞাসা করিলআপনারা এত রাত্রে এখানে কেন ? আর ব্যাপারই বা কি ? কি বলাবলি করছেন আপনার ? বাসা কোথায় আপনাদের ? যামিনী ঘোষের প্রশ্নের স্বরে বালিকা খতমত খাইয়া কঁাদিয়া ফেলিল। Sur