পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তারপর আমাদের গল্প আরম্ভ হলো প্ৰধানত কাশ্মীর নিযেই। কাশ্মীর আমার বন্ধুটির জীবনেব একটি তীর্থক্ষেত্র-অনেকবার তিনি ক্লান্ত নাগৰি কেব মন ও চক্ষুকে বিশ্রাম দেওযার জন্য দেশ-বিদেশে ভ্ৰমণে বেরুতেন। আমি জানি । কাশ্মীবেও গিযেচেন অনেকবার। কাশ্মীরেব কথাষ সাধাবণতঃ তিনি পঞ্চমুখ হয়ে পডেন। এবাব কিন্তু একটা নতুন বিষযা নিযে তিনি কথা পাঙিলেন । সেটা হলো তাব একটি অতিপ্ৰাকৃত অভিজ্ঞতা, যেটা কাশ্মীবোব পথেই ঘটেছিল। বন্ধু বললেন : সেবাব পূজোর পরে আমার বাল্যসুহৃদ রতিকান্ত মৈত্রের সঙ্গে পবামর্শ কবে তারই মোটবে দু জনে কাশ্মীর যাত্ৰা কবা গেল। বুতিকান্ত প্ৰতি বৎসব নিজের মোট বা নিষে গ্রগাণ্ড ট্রাঙ্ক বোড ধরে কোথাও না কোথাও যাবে। এবার আমারই কথায্য সে কাশ্মীব বাওনা হলো। পথের আনন্দ ও কষ্ট ভোগ করতেকরতে আমরা দিল্লী গিযে পৌছুলাম। সেখানে দিন দুই বিশ্ৰাম কবে আমরা আবার মোটর ছাডলুম। বাকি পথটুকু বেশ কাটলো। সে বর্ণনা বিস্তৃতভাবে করবার কোনো ख्वादथJक cाथि ना । কোহালায পৌছুলাম দিল্লী থেকে বাওনা হবার তিন দিন পরে সন্ধ্যার দিকে । মোটর থামিয়ে কোহালার বাজারে একটি চায্যের দোকানে চা পান করতে বসলাম দু-জনে। গাডিতে রইল ক্লিনার রামদীন ও তৃত্য নাথু বাগ। শেষোক্ত ব্যক্তির নামটি অবাঙালীর মত শোনালেও প্রকৃতপক্ষে ওব বাড়ী মেদিনীপুর জেলার তমলুক মহকুমায এবং সে বাংলা ছাড অন্য প্রদেশেব ভাষা Vir, a চা পানেব সময দোকানদারকে আমাদের বাত্রির জন্যে একটু বিশ্রামস্থানের সন্ধান দিতে বললাম। সে দু-একটা সন্ধান দিলে। বড় পরিশ্রান্ত ছিলাম সেদিনটা । বাত্ৰিতে একটু ভাল ঘুমের দরকার ছিল। নাথুকে গাড়িতে বসিয়ে রেখে ( কারণ তার দ্বাবা এ বিষয়ে কোনো সাহায্যই পাওয়া সম্ভব নয় )। রামদীন ক্লিনাবিকে সঙ্গে নিয়ে আমরা বাসার সন্ধানে বায় হই । রতিকান্ত বললে-গাড়ির একটা আস্তানাও তো খুঁজতে হবে ? আমি বললাল-খুঁজে পেলে ভাল হয়। বাইরে বেজায় ঠাণ্ডা। নাথুতো শীতে জমে যাবে গাড়িতে থাকলে বাইরে। è “R