পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উঠোঁচে, সামনের নিম্নভূমি অর্থাৎ উপত্যকার বেঁটে ওক, চেনার ও সরল গাছের ফঁাকে ফঁাকে জ্যোৎস্নার কী অপূর্ব শোভা ! বাতাস বেশ শীতল। আমার যেন চোখে ঘুম আসচে। না, এই সুন্দর বনাবৃত উপত্যকাব শান্ত কুটিরখানি সারারাত্রি জেগে ভোগ করি এট যেন আমার মনের গুঢ় বাণী। কিন্তু শরীর মানলো না । পথাক্রান্ত দেহ এলিয়ে পড়তে চাইছিল শয্যায়, অগত্যা আশ্রয় গ্ৰহণ করা ছাড়া গত্যন্তর রইল না। সঙ্গে সঙ্গেই ঘুমিয়ে পড়লাম । অনেক রাত্রে আমার ঘুম ভেঙে গেল। আমি জেগে উঠে বিছানার ওপরে বসলাম । কি একটা শব্দ যেন আমি ঘুমের ঘোরে শুনেছি, তাই ঘুম ভেঙেচে । শব্দটা তখনও হচ্চে, আমি বাইরের বারান্দায় গিয়ে দাড়ালাম। বাইরে গিয়ে দাড়াবার সঙ্গে সঙ্গে আমার চোখ গিয়ে পড়লো নিম্নের উপত্যকার বনভূমির দিকে। এমন একটা দৃশ্য আমার চোখে পড়লো যাতে আমি পাথরেব পুতুলের মত আডষ্ট হয়ে গেলাম। চাদ হেলে পডেচে পশ্চিম আকাশে, তারই সুস্পষ্ট আলোতে দেখি একটি নারীমূর্তি আমার সামনে কি একটা গাছের ডালে দোলনা বেঁধে দে{ল খাচ্ছে । ভাল করে চেয়ে দেখলাম। হঁবা, নারীই বটে, সুন্দরী নারী । বাইশতেইশের মধ্যে বয়েস । কিন্তু মেয়েটির দোল খাওয়ার স্থান-বিশেষ করে সময়, আমার কাছে বড় আশ্চৰ্য বলে মনে হলো । কাশ্মীরের দিকে কখনও আসি নি। এখানকার মেয়েরা এই হিমবধী রাত্রের শেষ প্রহরে বনে এমন ভাবে দোলন টাঙিয়ে দোল খায় নাকি ?• • • দৃশ্যটা যদি শুধু সুন্দর হতো—সুন্দর সন্দেহ নেই-তাহলে আমি এত অস্বস্তি বোধ করবো কেন ? আমার যেন মনে হলো এই দৃশ্যের মধ্যে একটি জিনিস আছে—যা অশিব, যা নিয়মের বিপরীত, যা অমানুষী 1 তাড়াতাড়ি রতিকান্তকে ডাকালুম। সেও যখন বাইরে এল, তখনও মেয়েটি দোল খাচ্ছে । রতিকান্তকে বললাম-ও কে ভাই ? সে অবাক হয়ে গিয়েচে । চোখ রগড়ে বললোঁ-তইতো ! -এখানকার মেয়েরা ওরকম করে নাকি ? -ऊा कि छांनेि ? হঠাৎ বুতিকান্ত বলে উঠলো -- ওকি ! দোলনায় দড়ি কই ? গছে টাঙিয়েচে S ዓ¢