পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৮১

কি দিয়ে ? ভাল করে চেয়ে দেখলাম সত্যই তো, দোলনার দড়ি এত অস্পষ্ট যে চন্দ্ৰলোকে দেখা যাচ্ছে না । সরু তার হোলেও দেখা যাবে এ আলোতে । কিন্তু তাব বা দডি কিছু নেই-শূন্যে ঝুলিচে দোলনা !! আরও একটা ব্যাপার যা এতক্ষণ পরে লক্ষা কবে দেখলাম-আমাদের দিকে অল্প দুবেই গাছটােব তলায় এ ব্যাপার ঘটছে, অথচ কোনো রকম শব্দ আমাদের কানে আসচে। না । সবশুদ্ধ মিশিয়ে যেন একটা ছবি । রতিক। স্ত বললে -ভাই, বাউী ওয়ালাকে ডাকবো ? | S>)|\-سمیہ -আবােব এবই কেউ না হয়-তাহোলে হয়তো চটে যাবে। --তুমি ডাকে। যা হয় হবে । কথা বলতে বলতে একটু অন্যমনস্ক হয়েই পড়েছিলাম দু-জনে। বোধ হয় কয়েক সেকেণ্ড । পবক্ষণেই সামনেব দিকে চেয়ে দেখি কোথায় সেই দোদুল্যমান তরুণী নারীমূর্তি ! কিছুই নেই সে গাছেব তলায়। ওই তো সেই বঁকা ডালটা জ্যোৎস্নায় স্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠেচে গাছটাব শুভ্ৰ কাণ্ড ; পাশেব বেঁটে ওক গাছটা তেমনি দেখা যাচ্চে-কিন্তু কেউ কোথাও নেই, গাছের তলা একদম ফাকা । রীতিকান্ত বললে -ওকি, কোথায় গেল ? --তাইতো ! -আশেপাশে নেই তো ? কয়েক সেকেণ্ডের মধ্যে কেউ পালাতে পারে না-আমাদের দু-জনের চোখ এডিয়ে এই জ্যোৎস্নালোকিত উপত্যকা থেকে । যাবার আব্ব কোনো রাস্তা নেই, বাজারে যাবাব ওই সঙ্গে পাযে চলাব পথ ছাড়া। পেছনে উঁচু পাহাড়টা। বনের নিচে আগাছার জঙ্গল নেই বাংলাদেশের মত।--বেশ পরিষ্কার তলা দেখা যাচ্চে জ্যোৎস্নায়। সম্ভব নয় কোথাও লুকোনো বা পালানো আমাদের চোখ এড়িয়ে-অল্প সময়েব মধ্যে । রতিকান্ত বললে-ব্যাপার কি ? --তাইতো আমিও ভাবচি ! -এ দেখচি একেবারে ম্যাজিক ! - সেই রকমই মনে হচ্চে । --কি করা যাবে এখন ? Sup