পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবন সেইরকমই বয়ে চলেচে। গৌর পিওন সেই পুরোনো দিনের মতই চিঠি বিলি কৱচে । গৌর পিওন বোজ আসে, বোজ খানিকটা বসে গল্প করে। কোনোদিন একটা নাবিকেল, কোনো দিন বা একটা কঁঠাল চেয়ে খায় । দেবার প্রায মাস আট-নয় বডে৷ আনন্দেই কেটেছিল গ্রামে। তারপরই আবােব অনিচ্ছাসত্ত্বেও চলে যেতে হলো বিদেশে । কাটলে সেখানে কয়েক বছর । এইবার আষাঢ় মাসে দেশে ফিবে এলাম আবার । এসে দেখি, বাউীব কি ছিরিই হয়েছে। না থাকলে যা হয় । কয়েক বছরেব বর্ষাৰ জলে পুষ্ট হযে আগাছাব জঙ্গল বাডীব ছাদ পর্যন্ত নিবিড ঝোপের সৃষ্টি কবেচে । সিমেণ্ট উঠে গিযে রোষাকে কঁটানটের জঙ্গল গজিযেচে । ঘবের মধ্যে কডি কাঠে মৌমাছিবা চাক বেঁধেচে। কলা-বাদুড কডিতে বরগাতে কুশাচে। চামচিকোব নাদি দুইঞ্চি পুৰু হয়ে জমেচে মেঝেবি ওপর। পাবদিন সকালে গৌব পিওন চিঠি বিলি করতে এলো। এসে বললে“আজই আমার চাকবিব শেষ দশ বা পাঠাকুব । বাড়ী এসেচেন, তবুও শেষ দিনটি আপনাকে চিঠি দিযে গোলী • ।”

  • -আজই শেষ দিন ?”
  • -আজই বাবাঠাকুব । পয়ত্ৰিশ বছব তিনমাস পূর্ণ হলো। আর কতদিন রাখবে, গবর্নমেণ্ট ৷”
  • -বাপে । একটা পাকা অনিবাস নিয়ে যাও । বঁাশবাগানে জংলি, আনারস অনেক হয়ে আছে, বেশ মিষ্টি।”

গৌব কিছুক্ষণ বসে গল্প করে চলে গেলো। পরদিনও দেখি, সে ডাকব্যাগ ঝুলিয়ে চিঠি বিলি করে বেডাচ্চে, সঙ্গে একজন ছোকবা বয়সের পিওন । বললাম-“কি গৌর, আজ আবার যে ? গৌর প্রণাম করে বললে-“নতুন লোক এসেচে, ও-তো বাড়ী-ঘর চেনে না, তাই ওকে দেখিয়ে নিয়ে বেড়াচ্চি ।” Stre