পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিছুদিন কেটে গেলো। গৌর পিণ্ডনের স্ত্রী অনেকদিন মাবা গিয়েচে । একটি মেয়ে আছে, সেই রান্নাবাড়া করে। অবস্থা অতি দীনহীন । একদিন ওর বাড়ী বেডাতে গিয়েছিলাম, গিয়ে দেখি, ও পরের বাড়ীতে फूर्ष छून 6वgicष्क । গৌর বললে-“বাবাঠাকুর, সামান্য পেনসনে কি চলে? আজকাল এই বাজার। তাই দেখি, দুধ দুয়ে কিছু যদি উপরি পাই ।” * -একটা ছোটোখাটো ব্যবসা করে না কেন ?” *-বাবাঠাকুর, যথেষ্ট বয়েস হয়েচে । হাতে টাকা পয়সাও নেই যে ব্যবসা করবো । এই রকম করে আপনাদের আশীর্বাদে এক রকম চলে যাবে ।” সত্যিকার দীনতামাখা মুখ ওর। দীনতা যদি বৈষ্ণবসুলভ গুণ হয়, তবে ও একজন খাটি বৈষ্ণব । তারপর একটি মজাব ঘটনা ঘটে গেলো । ব্যাপার। এই : মহকুমা হাকিম বদলী হয়ে যাচ্চেন, তার বিদায়অভিনন্দনের সভায় আমার ডাক পড়লো। খুব বক্তৃতা প্রচুর জলযোগের আয়োজন ছিলো। সেখানে । এমন সহৃদয় বাজকর্মচাৰী জীবনে ও নাকি কেউ দেখেন নি। তিনি মহকুমাব যে উপকার করে গেলেন, এখানকার অধিবাসীবা কখনো তা বিস্মৃত হবে না ( কি উপকার ? আজকের দিনটি ছাড়া কারো মুখে এতদিন সেই মহাদুপকারের বার্তা শোনা যায় নি। কেন ? ) । বাবেনবাবু বক্তৃতা করতে উঠতে র্তার কানে কানে বললাম, আর কেন বেশী কথা খরচ করচেন অস্তগামী সুর্যের পেছনে, সংক্ষেপে সারুন। লুচি ঠাণ্ডা করেন কেন অকারণে । বিদায়ী মহকুমা হাকিম র্তার বক্তৃতায় বললেন--তিনি এই মহকুমার জন্যে বিশেষ কিছু করেন নি ( খাটি সত্য ), উৰ্তাব বন্ধুবা তাকে স্নেহ করেন বলেই ७gड डॉन ऐखि ऊँद्र जश्वक করলেন ( মিথ্যে কথা হয়ে গেলো, স্নেহ করেন। বলে নয়)। তিনি এখানকার কথা কখনো ভুলতে পারবেন না, ইত্যাদি । সেখান থেকে ফেরবার পথে বার বার মনে হলো, এ-সব বিদায় অভিনন্দন ব্যাপারটা আগাগোড়া মিথ্যে ও অন্সার। মহকুমা হাকিমকে তোষামোদ >切"> f বঁৰী-১৩