পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'-f বুঝলে '-তোমারই কাজ। নইলে, গৌর পিওনের অভিনন্দন। এমন উদঘুট্টে কাণ্ড আবার কার মাথায় আসবে? তা, ভায়া-আজকের সভাপতিত্বটা তুমিই করে ।” আমি পল্পীগ্রামের ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্টের মনের ভাব বুঝি নে ? এতো বোকা আমি নই। তৎক্ষণাৎ বললাম, ‘ক্ষেপেছো বরেন-দা ? তুমি হাজির থাকতে আমি ? কিসে আর কিসে! তা হয় না। চলো দাদা, তোমাকে আজকের দিনের-” -'नों नi, 6भनिों डब्रिा।' বরেন র্দার মুখে খুশির ঔজ্জ্বল্য। আমি ওকে হাত ধরে টেনে সভাপতির চেয়ারে এনে বসলাম । আমার ইঙ্গিতে গৌর পিওনকে সভাপতির পাশে বসানো হলো । একেবারে প্রেসিডেন্টের পাশের চেয়ারে- জনমণ্ডলীর দৃষ্টির সামনে। এও আজ সম্ভব হলো। গৌর পিওনের দিকে চেয়ে দেখলাম। ওর মুখও খুশিতে উজ্জল হয়ে উঠেচে। গৌর চারিধারে চেয়ে চেয়ে দেখচে, একি ব্যাপার ? সে বোধহয় বিশ্বাস করতে পারে নি যে, তার সভা এমন চেহারার হবে, বা তাতে এতো লোক সমাগম হবে । বরেন দার মতো বিশিষ্ট ব্যক্তি, স্কুলের হেডমাস্টারের মতো বিশিষ্ট ব্যক্তি, আড়তদার নৃপেন সরকারের মতো বিশিষ্ট ব্যক্তি সে সভা অলঙ্কত কববেন-তঁাদেব মহিমময় উপস্থিতি দ্বারা । ছেলেরা সভায় দল-বেঁধে এলো, প্ৰত্যেকের হাতে একগাছ কবে ফুলের মালা, একজনের হাতে চন্দনের বাটি । উদ্বোধনী সঙ্গীত গুরু হলো : ‘শরতে আজ কোন অতিথি এলো প্ৰাণের দ্বারে” রবীন্দ্ৰনাথের গান গাইতেই হবে, যার যা জানা আছে, সভার উদ্দেশ্যের সঙ্গে মিল হলো, বা না হলো। গাড়াগায়ে কে ক’টি রবীন্দ্রনাথের গান জানে ध छांटन, ७छे डाला । लiशie । আমি সভাপতি নির্বাচনের প্রস্তাব করবার সময় বললাম।-- “আজকের এই জনসভায় বিশিষ্ট সমাজ-সেবক শ্ৰীগৌবিচন্দ্ৰ হালদার মহাশয়ের অভিনন্দন উৎসবে পৌরোহিত্য করার জন্যে দেশের অলঙ্কারস্বরূপ (কিসে ? ) উদার হৃদয় (একদম বাজে ) কর্মী আমাদের ইউনিয়ন বোর্ডের সুযোগ্য > ア8