পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( নিৰ্জলা মিথ্যে) প্রেসিডেন্ট মহােদয়কে (মার্কিন প্রেসিডেন্ট টুম্যান আর কি ) অনুরোধ করচি, তিনি দয়া করে অদ্য ( দয়া করবার জন্যে পা বাড়িয়েই আছেন। )-ইত্যাদি ইত্যাদি । একটা ছোটো মেয়ে সভাপতির গলাব ফুলের মালা দিলে। কাৰ্যসূচীর প্ৰথমেই আমি লিখে রেখেচি, ‘সভাপতি কর্তৃক শ্ৰীগৌরচন্দ্ৰ হালদার মহাশয়কে মাল্য-চন্দন দান।” অতএব সভাপতিকে গৌর পিণ্ডনের কপালে চন্দন মাখিয়ে দিতে হলো ( কেমন মজা, বরেন দা ? ) এবং মালা পরিয়ে দিতে হলো । সে কি হাততালির বহর চারিদিকে। বেচারী গৌর পিওন বিমুঢ় বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে বসে রইলো। একে একে বক্তাদের নাম ডাকা হতে লাগলো। আমিই নাম-তালিকায় একের পর এক বক্তার নাম লিখে দিয়েচি ৷ যথা ১ । স্থানীয় হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার-গদাধরবাবু। ২ । স্কুলের শিক্ষক-মহাদেববাবু। ७ । cग9भन भांज़ैब्रि । ৪ । পোস্ট মাস্টার । ৫ । আড়তদার নৃপেন সরকার। ৬ । কবিরাজ মশাই । ৭ । প্ৰাইমারি স্কুলের পণ্ডিত মশাই । ৮ । চামড়ার খটিওয়ালা-রাজবালি বিশ্বাস । ৯ । বস্ত্র ব্যবসায়ী-রামিবিষ্ণু পাল। ১০ । আমি । ১১ । সভাপতি । এদের মধ্যে অনেকে সভায় বক্ততা কখনও দেয় নি। সভায় দাড়িয়ে উঠে, মুখ শুকিয়ে গলা কাঠ হয়ে, চোখে সর্ষের ফুল দেখে বক্তারা আর কিছু বলবার না পেয়ে, গৌর পিওনকে একেবারে আকাশে তুলে দিলে। না, গদাধর ডাক্তার মন্দ বললেন না। মহাদেববাবু বৃদ্ধ হলেও শিক্ষিত ব্যক্তি, মোটামুটি গুছিয়ে দু-চার কথা যা হোক একরকম হলো । স্টেশন মাস্টার বেচারীর হাত-পা একেবারে কেঁপে অস্থিব । পোস্ট মাস্টার খুব ভালো বললেন, তবে অনভ্যাসের দরুন। একটু বাড়াবাড়ি হয়ে গেলো। বক্তৃতার শেষে তিনি বোকের মাথায় একেবারে ছুটে এসে-“ভাই রে, গৌর! আজি আর তুমি ছোটাে আমি বড় নই, আজ তুমি আমার ভাই'- bort