পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রোমানস সমীরই প্ৰথম কথাটা তুললে । তার মত এই যে, রোমান্স প্ৰেম ওসব নভেলিয়ানা কেবল নভোলেই ঘটে, বাস্তব জীবনে ওদের অস্তিত্ব নেই। তাতে সুধীরও যোগ দিল বলে মনে হলো । ক্ৰমে ক্ৰমে বাকি সবাই সমীরের মতে মত দিল। তারপর ক্লাবের বেয়াবা চা দিয়ে গেল। চা খেতে খেতে আমাদের গল্পের ধারা শীঘ্রই এসে টেনিসে পৌছলো অন্য সব দিনের মতো। ঘরের কোণে ব্রিজ টেবিলের আডালে রমেনবাবু এতক্ষণ আলোয়ান মুডি দিয়ে আরাম-কে দারায় টান হয়ে শুয়েছিলো। এতক্ষণ পৰ্যন্ত কোনো তর্কেই তিনি যোগ দেননি, বিশেষ কোনো কথাও বলেননি। চায়ের এক চুমুক খেয়েই একটু তাজা হয়ে নিয়ে বললেন-দেখো তোমরা এতক্ষণ বকে যাচ্ছিলে আমি শুনছিলাম, কথা কইনি বটে। কিন্তু যখন কথাটা উঠেছে তখন বলি শোনো । রোমান্স আছে এবং খুবই আছে। জীবনটাই তো একটা প্ৰচণ্ড রোমান্স হে -সে চোখে দেখে কািজন-দেখবার চোখেই বা আছে কজনের ? আচ্ছা, চা, ঢা জুড়িয়ে যাচ্ছে, এসে খেয়ে নেওয়া যাক-শোনো তাবপর বলি• • • * রমেনবাবু আমাদের ক্লাবের নতুন মেম্বার মাস চারেক হলো যোগ দিয়েছেন । তঁাকে একটু অদ্ভুত ধরনের লোক বলে আমাদের সকলেরই মনে হয়েছে। ব্রিজ, টেনিস, বিলিয়ার্ড, দাবা কোনো খেলাতেই কোনোদিন তিনি যোগ দেন নি। খুব বেশি মেশামেশি বা গল্পও কখনো তাকে করতে দেখা যায় না। আপন মনে এসে বসেন, কাগজপত্র পড়েন, সন্ধ্যার আগেই উঠে চলে যান । কিন্তু লোকটির মধ্যে এমন একটা জিনিস আছে যাতে ক্লাবের সকলে তঁকে খুব পছন্দ করেন। তিনি না এলে, কেন তিনি এলেন না সে সম্বন্ধে আলোচনা হয় এবং আর একটা জিনিস, যা আদৌ ক্ষুদ্র ব্যক্তিত্বের পরিচায়ক নয়, সোর্চ এই যে, ডিনি উঠে চলে গেলে তার পেছনে তঁর সম্বন্ধে মন্দ কথা কেউ cकांgनांनि दनऊ ना । ইতিমধ্যে চা খাওয়া শেষ হয়ে গেছলো। রমেনবাবু চা পান শেষ কৰে রুমালে মুখ মুছে গল্প শুরু করলেন বছর কয়েক আগে আমি তখন একটা স্বদেশী ব্যাঙ্কের শেয়ার বিক্রি b7b7r