পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রচারের কার্ধে ঢাকা যাই । সেই প্রথম ও-অঞ্চলে যাওয়া । সময়টা শীতের শেষ হলেও কলকাতার ধাবণায় আমি শীতের কাপড সঙ্গে নিয়ে যাই নি বলে এক দফা পদ্মার ওপর ঈমারে, তাব।পর ট্রেনে শীতে হি হি করে কঁাপিতে কঁাপিতে বাত সাডে নটা দশটার সময় গিযে ঢাকায় পৌঁছলাম। আমাদেব ব্যাঙ্কের একজন ডিরেক্টাব ঢাকা শহরের এক ভদ্রলোকের নামে একখানা পরিচয়পত্র দিয়েছিলেন । তিনি শহরের একজন বডো উকিল। --নাম এখানে করবাব আবশ্যক নেই-তঁৱেই বাসায় গিয়ে উঠব এরকম কথা ছিল । আমি যখন সে বাড়ী গিয়ে পৌছিলাম তখন রাত সাড়ে দশটার কম নয়। বেশ জ্যোৎস্না বাত, কম্পাউণ্ডেব বা ধাবে ছোট্ট ফুলবাগান, জাফরিতে মাধবীলতা একেবেঁকে উঠেছে- আলো আঁধারে পাতার আডালে বডো বডো ব্লাকপ্রিন্স গোলাপ ফুটে রয়েছে- এসব গাণ্ডিতে বসেই কৌতুহলোব সঙ্গে চেয়ে চেয়ে দেখছিলাম। গাড়ি থামতেই একজন হিন্দুস্থানী দারোয়ান রুটিসেঁকা ফেলে গাডির কাছে এসে সেলাম কবে দাডাল । তাকে জিজ্ঞাসা করে জানলাম উকিলবাবু কি কাজে কুমিল্লাতে গেছেন, আজ তিন-চাব দিন বাড়ী ছাড়া, কবে আসবেন তার ঠিক নেই। কোচম্যানকে গাডি ফেরাতে বলেছি-ডাক বাংলোতেই অগত্যা উঠব- একটি ছেলে বাড়ীর মধ্যে থেকে বার হয়ে এল । সঙ্গে সঙ্গে সেই দারোয়ানটি এল-সে যে ইতিমধ্যে কখন বাড়ীর মধ্যে ঢুকেছিল আমি লক্ষ্য করিনি। ছেলেটি বললে, “বাবা কাল সকালেই আসবেন, আপনি যাবেন না, শুনলে বাবা দুঃখ করবেন। রামদীন, বাবুর জিনিসপত্র নামিয়ে নাও!” সুতরাং রয়ে গেলাম । আহার ও শয়নের ব্যবস্থা সুন্দর হলো, সারাদিনের পরিশ্রমে শীঘ্রই ঘুমিয়ে পড়লাম। পরদিন সকালে উঠে বাইরের বারান্দাতে বসে কাগজ পডছি, গৃহস্বামীর গাড়ি সদর গেট দিয়ে কম্পাউণ্ডের মধ্যে ঢুকলো। আজ সকালের ট্রেনেই উকিলবাবুর আসবার কথা ছিল—তাই ভোরে গাড়ি স্টেশনে গিয়েছিল তাকে আনতে। গৃহস্বামী গাডি থেকে নেমে আমায় দেখে আমার পরিচয় জেনে খুব খুশি হলেন । নানাভাবে আপ্যায়িত করলেন, বাত্রে কোনো কষ্ট হয়েছে কিনা সেকথা অন্ততঃ দশবার এমন ভাবে জিজ্ঞাসা করলেন যে, মনে হলো রাত্রে কষ্ট হয় নি বললে তঁকে হতাশ করা হবে। একদিনের মধ্যে আমি যেন বাড়ীর লোক হয়ে পড়লাম। সে বাড়ীতে । রাত্রে আমার আহারেীয় স্থান হল বাড়ীর মধ্যে দাওয়ায়। পরদিন সকালে আমার বাইরের ঘরে একটি বারো-তেৱো >br。