পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

য়—কারণ ফোর্থ ক্লাসে জিয়োমেট্রির ট্যানজেন্ট কোনো স্কুলেই পড়ানো হয় তা ছাড়া সেটা বীণাব। গলাও নয়। ঘড়িতে দেখলাম রাত চারটা জেছে। মনে মনে ইউক্লিডের অপূর্ব প্রভাবকে ধন্যবাদ না দিয়ে থাকতে পারলাম না । এই শীতোব রাত্রে চারটেব সময্য কাব্য জ্ঞান-পিপাসা এত এণ্ড ল হয়ে উঠেছে জানিবার ভারী ইচ্ছে হল । সকালে বীণ। চা নিয়ে আসতেই জিজ্ঞাসা করলাম- বীণা, শেষরাত্রে কে দি যোমেট্রি পডছিল বাড়ীর মধ্যে- তুমি ? বীণা হেসে বললে - আমি না, ও দিদি-এইবার ম্যাট্রিক দেবে। এই সামনের বুধবার থেকে একজামিন বসবে কিনা ? আমি বললাম— কই, তোমাব দিদি মাটিক দিচ্ছেন সে-কথা তো শুনিনি ? স্বােলর গাডিতে তো তুমিই একলা যাও দেখেছি। -- বীণা হেসে গডিয়ে পডে আবে কি । বললে – বারে, বেশ লোক তো অ|পনি । দিদি তো অ্যালাউ হয়ে বাড়ী বসে পড়ছে- ও বুঝি আমার স গঙ্গা বোজ রোজ স্কুলের গাডিতে পড়তে যাবে ? কথাটা বীণা ঠিকই বলেছে, তার হাসিটা নিতান্ত অসঙ্গত নয় বটে। সেদিন বিকালে স্কুলেবি গাড়িটা যখন এসে লাগলো তখন আমি বোয়াকে পাস চারি করছিলাম। বীণাকে নামতে দেখলাম না। কিন্তু আর একটি নামলো । বয়স পনেরো-ষোলো হবে, অপূর্ব সুন্দরী, লাল পােড সিস্কোর জ্যাকেটের বাইবে নিটোল শুভ্ৰ বাহু দুটি যেন হাতীব র্দাতে কুঁদে তৈরী। এক বার আমব দিকে চোখ ফিরিয়ে চেয়ে দেখে শান্ত গতিতে বাডীব মধ্যে <ाठा । সন্ধ্যার একটু আগে বীণা এসে বললে- চা এখন আনবো, না বেডিয়ে এসে খাবেন-পবে একটু থেমে বললে-দিদিকে আজ দেখেছেন, না ? আমি তখনও ঠিক করতে পারি নি যে, স্কুলের গাডিতে সেই মেয়েটিই বীণার দিদি। পূর্বেই বলেছি বীণা ভাবী বুদ্ধিমতী মেয়ে। সে আমার মুখ দেখে ব্যাপার বুঝে নিয়ে বললে - আজি বিকেলে স্কুলের গাড়ি থেকে যে নামলো তখন-ঐ তো দিদি-আমি তো আজ স্কুলে যাইনি। দিদি রিসিট আনতে স্কুলে গেছিলো যে ও-বেলা । পরে সে বললে-দিদিই। আমাকে জিজ্ঞেস করছিল, বাইরের ঘরে ও ভদ্রলোকটি কে রে ? yG9 S