পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শাসনের সুরে বলছে, কানে গোিল-ও-রকম মাস্টারমশাই মাস্টারমশাই বলছিলি কেন বীণা ? ভারী খারাপ শোনাচ্ছিল কানে—উনি কি আমাদের মাইনে নিয়ে পডান ? কয়েক দিন পরে হঠাৎ কলকাতায় ফেরবার জরুরী তার পেলাম আপিস থেকে। পরদিন সকালে বিছানাপত্ৰ বঁধা ছাদা চলছে, বীণা এসে বললেআপনার আজ যাওয়া হবে না । বেশ তো আপনি, ভরা অমাবস্যা মাথাব্য বুঝি বাড়ী থেকে বেরুতে আছে ? দিদি বলে দিলে মাস্টার-এই রমেনবাবুকে বারণ করে আয়, কাল যাবেন এখন। খুলুন বিছান-ধরবো ? সেদিন অমাবস্যা কাটবার কথা ছিল না, সুতরাং বিছানাপত্র আবার খুলতে হল । পাবদিন সকালে এক কাণ্ড ঘটলো, দশটার গাডিতে আমি চলে যাবে, উকিলবাবুও আমার সঙ্গে যাবেন তঁর কি কাজে ফরিদপুরে। নারায়ণগঞ্জ থেকে এক স্ট্রীমারেই আমরা যাবো । সকালে দুজনে একসঙ্গে মাঝেব। বাবান্দাতে খেতে বসেছি, হঠাৎ উকিলবাবু প্ৰতিমার উপব বেগে উঠলেন । আজািকব রান্নাবান্ন। ব ভােব তারই ওপব বুঝি উকিলবাবু দিযেছিলেন। সে একটু বেলায আরম্ভ কবিযেছে। ঠাকুরকে দিয়ে, এই তুচ্ছ বিষয় নিযে-বিশেষ করে আমি সেখানে একজন বাক্টরের লোক-আমার সামনে মেযেকে এমন রূঢ় ও অগ্ৰীতিকর কথাবাত বললেন, যাতে করে আমি অত্যন্ত সঙ্কোচ বোধ কব লাম। অামাব দিকে চেযে চেযে বলতে লাগলেন-দেখলেন রমেনবাবু, আজকাল মেযেদেব। --অামি ওকে কাল রাত থেকে বলেছি। সকালে আমার যাবো, সব যেন ঠিক থাকে - দেখছেন তো একবার কাণ্ডখানা ? বলি এটা কি ঝোল না কি ছাই এটা ? এর নাম ঝোল ? না। আমি সত্যি বলছি। রমেনবাবু, আমি আজকালকাব ওসব বিবি সাজা পছন্দ করিনে একেবারেই। খুব হয়েছে, পড়াশুনোব। আর দবকাব নেই, যথেষ্ট হযেছে, • • আমার সামনে এসব কথা হওয়াতে হযতো নেপথ্যপথাবতিনী প্ৰতিমা লজায় অপমানে ভেঙে পড়তে চাইছিল। কেননা আমি সম্পূর্ণ বাইরের লোক। তিরস্কাবেব পর সে আর আমাদেব সামনে পরিবেশন করতে বেরুলো না । অত্যন্ত ভারী মন নিয়ে নিজের ঘরটিতে ফিরে এলাম। একটু পবেই বীণা চায়ের কাপে এক কাপ দুধ নিয়ে এসে বললে—দুধ-মিছরি খেয়ে নিন• • • Σ δ\ο