পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঠিক করলেন। চাটগায়ের উকিল, হাতে পয়সা আছে, কিন্তু তেজ পক্ষের বর, বয়স চল্লিশেরও ওপর। দিদি সব শুনেছিল, কিন্তু কিছু বলেনি। মা কত বোঝালেন। কিন্তু বাবার ইদানিং কেমন হয়েছিল জানিনে, দিদিকে একেবারে যেন বিষ নজবে দেখতেন । দিদি শেষে রাগে পডে খববের কাগজ দেখে কে থাকার স্কুলে মাস্টারিব দরখাস্ত কবে, চাকরিও পায়-কিন্তু বাবাব হাতে ন্যা দল চিঠি এসে পডে। তারপর সে কী অপমান আর কী কাণ্ড । তারপরই পৰীক্ষায ফেলে হল, সে আবার এক কাণ্ড। বাবা হঠাৎ মা'বা না গেলে এ বিযে ঠিক হত। এইসব গোলমালে দিদি যেন কেমন হয়ে গেল। চিরকাল সে ভারী অভিমানী। দিদির কোন দোষ ছিল না, সে যে মাস্টারিব দরখাস্ত কবেছি । সে শুধু অপমানের জালায জ্বলে জলে আব্ব থাকতে না পেবে। তা বপ, বীণা আমায বসতে বলে তাডাতাডি বাডীর মধ্যে চলে গেল এবং পিছুক্ষণ পাবে পুঝানো দিনেব মতো নিজেব হাতে চা ও ঝি-এর হাতে জলখ। বাবের বেকবি আব্ব জলোেব গ্রাস নিয়ে ঘরের টেবিলে বেখে বললে-আসুন দ্দিকি, খেয়ে দেখুন তো চা টা—তবে কি অব আপনাব ডাক বাংলোব বাবুচির মতো হয়েছে ? বীণা আগেকাব চেয়ে সুশ্ৰী ও মাথায় বড়ো হয়ে উঠেছে। তবে ওর ধরণগুলো ঠিক আছে, একটু ও বদলায়নি। বেশ লাগে ওকে। ৭ঠবাব সময বীণা বললে – কিন্তু আপনি কাল সকালেই আসবেন তো ?-- মামি মাকে বলছি, আপনি না এলে ভারী বাগ কববি কিন্তু বলে দিচ্ছি। কাল পযু মিশিবকে সকালে ডাক বা’ লোয় পাঠিযে দেবো এখন। আমি তাকে বুঝিয়ে বললাম। — এখানকার আপিসের কাজ শেষ হয়ে এসেছে, বেশিদিন অব ঢাকায় থাকুতে হবে না, অল্পদিনেব মধ্যেই কলকাতায় যেতে হবে। বরং এবপর যখন আসব - ইত্যাদি। বীণা কিন্তু কিছুতেই শুনলে না, "তাব মনে ও বেশি কষ্ট দিতে পারলাম না, রাজী হয়ে বললাম-আচ্ছা তাই হবে, গবে একটু দেবি হয়ে যাবে হয়তো, এই বেলা ন’টাব মধ্যেই আসব। বীণা খুব খুশি হযে বললে—আপনার সেই ঘরটাতেই থাকবেন, সকালেই আটটার আগে আমি রঘু মিশিবকে পাঠাব। চলে আসবাব সময়ে আবার ডেকে বললে-সিকালে চ খেয়ে আসবেন না যেন, এখানে এসে খাবেন । ডাক বাংলোয় ফেববার পথে সেদিন একটা সত্য আমার কাছে বেশ পরিস্ফুট হয়ে উঠল-হঠাৎ বীণারা আমার বডো আপন হয়ে উঠেছে। এত RS