পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-হ্যা। বাবার মুখে শুনেছিলাম সভার একজন রাজদূতহেলিওডোরাস মনে মনে ভাবলে, ইনি বোধ হয় কোন রাজ-অমাত্যের কন্যা হবেন । বললে-আপনার পিতা রাজসভায় কি পদে-আমি অনেককেই 衍向一 মেয়েটি কিছু বলবার পূর্বেই আরও দুটি সুন্দরী মেয়ে-ওরই প্ৰায় সমবয়সী। -সেখানে এসে পড়ল কোথা থেকে । ওদের দুজনকে দেখে তারাও যেন অবাক হয়ে গিয়েছে। একজন বললে-কত খুঁজে বেড়াচ্চি তোমাকেবাব্বা: ! এখানে কি হচ্ছে ? মেয়ে দুটি বিস্ময়ের দৃষ্টিতে হেলিওডোরাসের দিকে চাইলে। সে দৃষ্টির মধ্যে প্রশ্নও ছিল । হেলিওডোরাস বললে-আমি এখানে বেড়াতে এসে একটু বসেছিলাম। আমি জানতাম না যে, আপনাদের বাগান। সেই সময় আপনাদের সখী মেয়ে দুটি সে কথার কোন উত্তর না দিয়ে একটু তাচ্ছিল্যের সঙ্গেই মুখ ঘুরিয়ে তাদের সখীর দিকে চেয়ে বললে-চল! মহাদেবী ভাববেন-কতক্ষণ বেরিয়েছি এমন সময় আরও তিন-চারটি তরুণী সেখানে এসে দাঁড়াল। তাদের পেছনে দেখা গেল আরও দুটি আসছে। পিছনের মেয়েগুলি কলরব করতে করতে আসছিল। ওদের মধ্যে কে বললে-কি হচ্ছে সব জটলা ওখানে ? কি হয়েছে ? ওদের সম্মিলিত কণ্ঠের তরল হাস্যকলরবে নববসন্তের বাতাস যেন মন্দির হয়ে উঠেছে, চু্যতমঞ্জরী এই পুষ্পপ্লাবিনী তখী বালিকাদের নূপুর-নিকণে। হেলিওডোরাস প্রথম দৃষ্টা সে অপরূপ ৰূপসীকে সম্বোধন করে বললেআমি চলে যাচ্ছি, আমায় ক্ষমা করুন-আপনার পিতার নামটি তো শুনতে পেলাম না। ভদ্রে ? একজন মেয়ে ভাল করে মুখ না ফিরিয়েই ঈষৎ উদ্ধত স্বরে বললে-ওঁর পিতার নাম মহারাজ ভাগভদ্র । তারপর সবাই মিলে একদল বন্যহংসীর মত লঘু পদক্ষেপে লতাবিতানের অন্তরালে অদৃশ্য হল। হেলিওডোরাস কোনরকমে বাগান থেকে বার হয়ে এল । স্বয়ং রাজকন্যা মালবিক ! এর রূপের খ্যাতি বিদিশায় এসে পৰ্যন্ত SR (t