পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হেলিওডোরাসের অন্যমনস্কতা এক চমকে কেটে গেল। বললে—কি বলকিস তুই ? এই, দাড়া ! ভিক্ষুক ভয়ে ভয়ে বললে-খারাপ কিছু বলি নি বাবা, বাসুদেব আপনার মনের বাসনা পূর্ণ করুন, তাই বলছি। -কে তিনি ? -মন্ত বড় মন্দির বাসুদেবের - জানেন না ? -খুব জানি । কেন জানিব না।--ভারতীয় দেবতার মন্দির। দেখেছি । -তিনি যে জাগ্ৰত দেবতা বাবা । যে যা ভেবে মানত করে, তিনি छांद्र মনের ইচ্ছা পূৰ্ণ করেন। আমি একবার হেলিওডোরাস আর একটি মুদ্রা তার হাতে দিয়ে বললে-যা পালা-মুণ্ড কেটে ফেলে দেব। আর একটি কথা বললে সেই বৈশাখী জ্যোৎস্নারাত্ৰে উদভ্ৰান্ত হেলিওডোরাসের মনে ভিখিরির এই কথা যেন দৈববাণীর আশ্বাস নিয়ে এল। বাসুদেব• • • । ভারতীয় দেবতা বাসুদেব ! মনের বাসনা পূর্ণ হবে তার ? সে যা চায় ? মালবিকাকে না পেলে বিশাল ইরিথিয়ান সমুদ্র পাড়ি দিয়ে ছাগপদ বনদেবতাদের খুঁজে বের করবে: সামোস দ্বীপের বন্য দ্রাক্ষাকুঞ্জের নিভৃত আশ্রয়ে, জলপাই ও মার্টিল বৃক্ষের কোপে, ঝোপে, আদ্র পাষাণমঞ্চে শুয়ে ওক-পাইনের তলে সারাজীবন কাটিয়ে দেবে বন্যফল খেয়ে-ছাগপদ স্যাটারদের দলে মিশে চিরযৌবনা বনদেবীদের সন্ধানে• • • অথবা-বনদেবীদের প্রয়োজন নেই-রাজনন্দিনী মালবিকার সন্ধানে সে চিরযুগ ঘুরবে••• পরদিন বৈশাখী পূর্ণিমা। সন্ধ্যার সময় সে গিয়ে বাসুদেবের মন্দিরের বিরাট চত্বরের একপাশে এক গাছতলায় দাড়াল। বিরাট পাষাণমন্দিরের চুড়া উধ্বকাশে মাথা তুলে দাড়িয়ে আছে।--মন্দিরের অভ্যন্তরে শঙ্খ ঘণ্টার ধ্বনি-মন্দিরের প্রাঙ্গণে শত শত নরনারীব ভিড়-স্থানে স্থানে পুষ্পবিক্রেতা বসে আছে নানাবর্ণের পুষ্পের ডালি সাজিয়ে-দলে দলে মেয়ে পুরুষ চলেছে মন্দিরে। সে জানে তাকে মন্দিরের মধ্যে প্ৰবেশ করতে হয়তো বাধা দেবে। তবুও সে ভিড়ের মধ্যে ঢুকে পড়ল সন্ধ্যার অন্ধকারে গা মিশিয়ে। বেশী দূৱ 6श्चङ माँशेन शक्ता न क्रिस्रु । দূর থেকে দেখা গেল গর্তদেউলের অন্ধকারে ধাতুপ্ৰদীপের আলোয় N y ba7~