পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-আমাদেব এখানে যদি পাঠশালা খোলেন। তবে কেমন হয ? --তুজাগায় হয় না। ও গ্রামে বাস করি, এ গ্রামে পাঠশালা-তাও शश । । -কত দিতে হবে আমাদেব, একটা ঠিক ক’রে দ্যান--"আমার বাপু জোরজবরদস্তি নেই, বিদ্যাদানং মহাপুণ্যং, বিদ্যাদান করলে কোটি অশ্বমেধের ফল লাভ হয় । তবে আমারও তো চলা-চলতির ব্যবস্থা একটা চাই, এই বুঝে তোমরা যা দাও। নিজেরাই ঠিক করে। আমাব মুখে বলাটা ভালো হবে না। গঙ্গাচরণ অভিজ্ঞ ব্যক্তি । এভাবে অগ্রসর হলে ফল ভাল হয়। সে জানে । কাজেই বাউীতে ফিবে অনঙ্গ যখন বললে-তা। ওদের ওপর ফেলে দিলে কেন ? তোমার নিজের বলা উচিত ছিল-তখন গঙ্গাচরণ হেসে বললে-আরো না জেনে কি আব্ব আমি তাড ঘাটতে গিযেচি। আমি নিজেব মুখে হয তো বলতাম চাব আনা-ওরা দেবে আট জানা—দেখে নিও তুমি । পরদিন সকালে খোদ বিশ্বাস মহাশয়কে নিজেব বাডীতে আসতে দেখে গঙ্গাচরণ বিস্মিত হলো । ছেলেকে ডেকে বললে-পটলা, ডেকসোটা নিয়ে ऊच b '८- ডেকুসো মানে একটা কেবোসিন কাঠেব পুরানো প্যাকিং বাক্স। এর নাম “ডেকুসে” কেন হয়েছে তার ঐতিহাসিকতা নির্ণয় করা দুষ্কর। বিশ্বাস মশান্য বললেন-থাক থােক-আমার জন্যে কেন-সে কি হয ? বসুন বসুন-তারপর কি মনে করে সকালবেলা ? -একটা কথা ছিল। আমার বাড়ীতে কাল আপনি সমস্কৃতো বলেচেন, বাউীর মেয়েরা সব শুনেচে । আমার একটা গাইগারুর আজ মাসাবধি হলো দডি গলায় আটকে অপমিত্যু ঘটেচে। সবারই মন সেজন্যে খাবাপ। আমার নাতির অসুখ সেই থেকে সারাচে না-জার আর সর্দি লেগেই আছে—বুঝলেন ? গঙ্গাচরণ গম্ভীর ও চিন্তাকুল ভাবে ঘাড নাডাতে লাগলো । ভাবটা এই রকম যে, “ও তো না হয়েই যায না”- বিশ্বেস মশান্য বললেন- এখন কি করা যায় ? কাল রাত্তিরে আমার পরিবার বললে-ওনার কাছে যাও, উনি পণ্ডিত লোক, একটা হিল্পে হবে । গঙ্গাচবণ পূর্ববৎ চিন্তাকুল। সংক্ষেপে শুধু বললে-ই- ওর হাবভাব দেখে বিশ্বাস মশায় ভয় পেয়ে গেলেন। খুব গুরুতর কিছু Yb7r