পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাবার প্রত্যাশা করেন। কিনা ! এই বিদেশী যুবক বড় সরল। মায়া হয় ওঁর ওপর। মুখে বললেন মৃদু হেসে-তারপর বাসুদেবকে ভুলে যাবেন বুঝি -জীবন থাকতে নয় দেব, আপনি আর বাসুদেব এক তারে গাথা রইলেন আমার হৃদয়ে। দুজনের কাউকে ভুলব না। রাজকন্যা বললেন-একদিন আমরা বাসুদেবেব মন্দিরে গিয়ে আপনাকে দেখি । হেলিওডোরাস বললে-আমাকে ? --মন্দিরের সিংহদ্বারের কাছে আপনি একজন পূজারী ব্ৰাহ্মণের সঙ্গে কথা বলছিলেন। আমি আমার সখীদের সঙ্গে মন্দিরে ঢুকিছি-সুনেত্ৰা আমাকে দেখালে । সুনেত্রাকে ডাকি একটু পরে যে মেয়েটিকে সঙ্গে নিয়ে ফিরলেন, তাকে প্রথম দিন হেলিওডোরাস এখানে দেখেছে । স্বনেত্রা এসেই হেসে বললে—আপনাকে আমরা কতদিন এখানে খোজ করেছি-আমার সখী রাজকন্যা তর্জনী তুলে শাসনের ছলে লজ্জারুণ মুখে বললেন-চুপ, সাবধান ! সুনেত্রা বললে-এখানে আর আসতেন না কেন ? যুদ্ধে গিয়েছিলেন বুঝি ? -হ্যা-কিন্তু ফিরে এসেও তো কতবার এসেছি। ভদ্রো-রোজ রোজ তো আর পরের বাগানে আসতে পারি না। সুনেত্ৰা ভ্ৰকুঞ্চিত করে বললে-রোজ রোজ কি আমরা আপনার সন্ধান করতাম নাকি ? আপনি দেখছি বড় ধৃষ্ট-যান। এখান থেকে আজ । জানেন এটা আমাদের সখীর মাতামহ সঞ্জয় দত্তের বাগান ? নাতনীকে দিয়ে গিয়েছেন তিনি। এ শুধু আমার সখীর নিজস্ব বাগান-কার অনুমতি নিয়ে আপনি এখানে ঢুকেছেন জিগ্যেস করতে পারি কি ? রাজকন্যাসকুণ্ঠ প্ৰতিবাদের সুরে বললেন-ওকি সুনেত্ৰা ! পরে হাসিমুখে হেলিওডোরাসের দিকে চেয়ে বললেন-আমাদের হুণযুদ্ধের গল্প শোনাবেন ? RR8