পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হেলিওডোরাসের সঙ্গে মালবিকার বিবাহের কয়েকদিন পরে রাত্রে গভীব স্বষুপ্তির মধ্যে হেলিওডোরাস দেখলে সেই নবীন সুন্দর, কিশোর তাকে ঘুমেব মধ্যে ঠেলে দিয়ে আবদারের সুবে অভিমানে রাঙা ঠোঁট ফুলিয়ে বলছে-আমােব কথা মনে আছে ? আমায় যা দেবে-কবে দেবে ? মনে থাকবে ? হেলিওডোরাস চিনলে—দু বৎসর পূর্বে মহামাত্য সঞ্জয় দত্তের উদ্যানে এই কিশোরকে সে স্বপ্নে দেখেছিল-কুণ-তঁবুতে রাতের অন্ধকারে একেই সে স্বপ্নে দেখে। একদিন মন্দিরে গিয়ে বিগ্রহের মুখ দেখে তাব মনে হয়েছিল কোথাব্য যেন এ মুখ সে দেখেছে।-আজ সে বুঝেছে। হেলিওডোরাস বিস্ময়ে ও আনন্দে শিউরে উঠল ঘুমের মধ্যে। ইনিই সেই পরম করুণাময় বাসুদেব । জয় হোক তার ! জয় হোক স্বপ্ন বাসুদেবের ! হেলিওডোরাস তোমাকে ভুলবে না । হেলিওডোরাস ভোলেও নি । দু। হাজার বছর মহাকালের বীথিপথের অস্পষ্ট কুজীবটিকায় কোথায় মিলিয়ে গিয়েছে। বিদিশা নগৰী ও তাব বাসুদেবমন্দির আজ অতীতের ভগ্নস্তৃপকিন্তু তার প্রাঙ্গণতলে পরম ভাগবত হেলিওডোরাসের বিশাল গরুড়স্তম্ভ ভাও, ও ভগবানের স্মৃতিচিহ্ন বহন করে আজও মাথা তুলে দাডিয়ে আছে। - ওঁ নমো ভাগবতে বাসুদেবায় । TVo