পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নাইরোবির বাইরে শহর থেকে প্রায় এক ক্রোশ দূরে অপেক্ষাকৃত নিচু জায়গায় নদীর ধারে শ্মশান ।. স্থানটা বড় নির্জন ও ঘাসের জঙ্গলে ভরা। রাত্রে এ-সব স্থানে সিংহের ভয় ছিল খুব বেশি। সিংহের উপদ্রবে রাতে কেউ বড় একটা মড়া নিয়ে যেতে সাহস করতো না শ্মশানে। আমাদের সঙ্গে অনেক BDDD DDS BDDSD0DBDSDD DBDBBDD BBBB BBLB DBD DDD SKKBD নিয়ে গেল । LDBDBD DBDK BDB DDL0S k Dg BBBS DBDB BDD DBB অদূরে বসে আছি। এমন সময় আমার ছােট ভািষ্ট দেবু আঙুল দিয়ে দেখিয়ে বললে-ঐ দেখো, ও কে দাদা ! আমি চেয়ে দেখলাম । শ্মশানের দক্ষিণ দিকে একটা গাছতলায় একজন ভারতীয়া বৃদ্ধ মহিলা চুপ করে বসে একদৃষ্টি চিতাব দিকে চেয়ে আছে। পরনে তার অধ্যময়লা থান কাপড । বাবা সেদিকে চেয়ে বলে উঠলেন -সর্বনাশ ! ও যে বাম। ঝি । দাদা বললেন- ইঃ! বাবা, বামা দিদিমার মত দেখতে বটে ! বাবা বললেন-তোর মনে আছে ? —একটু একটু মনে পড়ে বাবা। আমরা সবাই অবাক হয়ে সেদিকে চেযে রইলাম। সত্যি, এই গভীর রাতে এই দুৰ্গম শ্বাপদসংস্কুল শ্মশান-ভূমিতে বোন বাঙালীর মেঘে আসবার কথা কেউ কল্পনা করতে পাবে না । আমরা কেউ তাকে চিনি ও না । কেবল চেনেন। বাবা এবং সামান্য কিছু চেনে দাদা । তাদের সাক্ষ্য সেখানে সেদিন গভীর এক তত্ত্বের অবতাবণ্য করলে । কোথায় বা চিতা, কার বা মৃতদেহ, মৃত্যুই বা কণর ? বৃক্ষতলে উপবিষ্ট নারীমূর্তি কিন্তু আমাদেব দিকে লক্ষ্য করেনি। সে সম্পূৰ্ণ নিম্পূহ, উদাসীনভাবে এক দৃষ্টি জলন্ত চিতার দিকে চেয়ে বসে ছিল। এখনো সে ছবি আমি দেখছি চোখের সামনে । চিরকাল আঁকা থাকবে সে ছবি আমার মনের পটে । হুগলী জেলার এক অখ্যাত গ্রাম থেকে মৃত্যুঞ্জয়ী স্নেহের টানে আজ বিশ বছব পরে বামা ঝি চলে এল পূর্ব আফ্রিকাব নাইরোবির শ্মশানভূমিতে । বেশিক্ষণ আমরা দেখতে পাইনি। সবসুদ্ধ বোধ হয় মিনিট পাঁচ-ছয় RVS8