পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বইখানা দেখেছিলাম, একখানা উপন্যাস। তাব কাছে চাইতে সে বললে, এ লাইব্রেরির বই, আজ ফেরুত দেওয়ার দিন। আপনাকে তো দিতে পারছিনে, তবে লাইব্রেরি থেকে বই বদলে এনে দেব এখন । -লাইব্রেরি আছে। এখানে ? --বেশ ভাল লাইব্রেরি, অনেক বই। দু’। আন চাদ । -আচ্ছা চাদা দেব, আমায় বই এনে দিও। ছোকরা চলে গেল এবং ফেববার পথে আমাকে একখানা বই দিয়েও গেল । আমি তাকে বললাম -তোমার নামটি কি হে ? সে বলল-আমার নাম পাচুগোপাল চক্রবতী, কিন্তু এ গ্রামে আমাকে সবাই বালক-কবি বলে জানে। আমি একটু অবাক হয়ে বললাম-বালক-কবি বলে কেন ? কবিতাটবিতা লেখ নাকি ? ছেলেটি উৎসাহের সঙ্গে বললে-লিখি বই কি । না লিখলে কি আমাকে বালক-কবি নাম দিয়েচে ? আচ্ছা কাল এনে দেখােব আপনাকে । পরদিন সে সকাল বেলাতেই এসে হাজির হল । সঙ্গে একখানা ছাপানো গ্ৰাম্য মাসিক পত্রিকা গোছের । আমাকে দেখিযে. বলল-এষ্ট দেখুন, এই কাগজখানা আমাদেব গা থেকে বেরোয় । এব নাম ‘বিশ্ব” । এই দেখুন প্রথমেই ‘মানুষ’ বলে কবিতাটি আমার। এই আমার নাম ছাপার অক্ষরে লেখা আছে কবিতার ওপরে-বলেই ছোকবা সগৰ্বে কাগজখানা আমার নাকের কাছে ধবে নিজের নামটি আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলে। হ্যা, সত্যিই— লেখা আছে বটে, কবি পাচুগোপাল চক্রবর্তী। তাহলে তো নিতান্ত মিথ্যা বলেনি দেখছি । কবিতাটি সে-ই আমায় পডে শোনালে । বিশ্বের মধ্যে মানুষের স্থান খুব DDS DDD DB B KkBk BDBD BDB BBDB D0DDDS অবশ্য কাগজখানা দেখে আমার খুব ভক্তি হল না । স্টেশনের কাছে একটা ছোট প্রেস মাছে এখানে, সেই প্রেসেই ছাপানো।--অতি পাতলা জিল জিলে কাগজ । পত্ৰিকাখানাকে “মাসিক” “পাক্ষিক’ ইত্যাদি না বলে “ঐকিক” বললেই এবং স্বৰূপ ঠিক বোঝানো হয়। অর্থাৎ যে শ্রেণীর পত্রিকা গ্রামের উৎসাহী লেখা-বাতিক-গ্ৰস্ত ছেলে-ছোকবার দল চ্যাদা তুলে একটিবার মাত্র বার করে, কিন্তু পরের বারে উৎসাহ মন্দীভূত হওয়াব দরুন আশানুরূপ চাদ না ওঠাতে বন্ধ কবে দিতে বাধ্য হয়-এ সেই শ্রেণীর পত্রিকা । SR 80