পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সে নির্বাক হয়ে দাত বার করে হাসতে হাসতে বললে-“তাতে কি হয়েছে ? আপনি তো এক রকম বুজিই হয়েছেন লিখতে। লিখুন না কেন।” আমি বললাম-“বেশ ছেলে বটে তুমি। কোথায় কি তার ঠিক নেই, তুমি নাম ছাপিয়ে দিলে কি বলে, আর দিলে দিলে একেবারে স্কুলের দেওয়ালে, নোটিশ বোর্ডে সর্বত্র ছডিয়ে দিয়েছ, এ কেমন কাণ্ড ? নামই বা পেলে কোথাষ ? কে তোমাকে বলেছিল ও নামে আমি কিছু লিখেছি বা লিখিব ?” যাক-পাচুগোপাল তো চলে গেল হাসতে হাসতে। এদিকে প্ৰতিদিন স্কুলে গিয়ে সকলের প্রশ্নে অতিষ্ঠ হয়ে উঠতে হল- বই বেরুচ্চে কবে ? কত দবি আছে আর বই বেরুবাব ?-মহা মুশকিলে পড়ে গেলাম। সে যা // ছ লেমানুষী করে ফেলেছে তার আর চারা নেই। আমি এখন নিজের মান বজায় রাখি কেমন করে ? লোকের অত্যাচাবের চোটে তো অস্থির হয়ে (5 & CCS সাত-পাঁচ ভেবে একদিন স্থিব করলাম-এক কাজ কবা যাক । সে এক টাকা সিরিজেব বই কোনদিনই বেবী কবিতে পাববে না। ওর টাকা কোথায় যে বই ছাবাবে ? বরং আমি একখানা খাতায় যা হয় একটা কিছু লিখে রাখি-লোকে যদি দেখতে চায়, খাতাখানা দেখিয়ে বলা যাবে, আমার তো লেখাই রয়েছে, ছাপা না হলে আমি কি করব। কিন্তু লিখি কি ? জীবনে কখনও গল্প লিখিনি, কি করে লিখতে হয তাও জানা নেই। কি তাৰে প্লট যোগাড করে, কি কৌশলে তা থেকে গল্প ফ্ৰাদে-কে বলে দেবে ? প্লটই বা পাই কোথায় ? আকাশ-পাতল ভাবি প্ৰতিদিন, কিছুই ঠিক করে উঠতে পারিনে। গল্প লেখার চেষ্টা কোনদিন করিনি। পাঠ্যাবস্থায় সুরেন বাভুজ্যে ও বিপিন পালের বক্তৃতা শুনে সাধ হত, লেখক হতে পারি। আব না। পাবি, একজন বড বক্তা হবই। কিন্তু লেখক হবার কোন আগ্রহই কোনদিন ছিল না, সে চেষ্টাও করিনি। কাজেই প্রথমে মুশকিলে পডে গেলাম। সাত-পাঁচ ভেবে প্লট সংগ্ৰহ আর করতে পারি না কিছুতেই। মন তখন বিশ্লেষণমুখী অভিব্যক্তির পথ খুঁজে পায়নি। সব কিছুতেই সন্দেহ, সব কিছুতেই ভয়। অবশেষে একদিন এক ঘটনা থেকে মনে একটা ছোট গল্পের উপাদান *ানা বাধল। সেই পত্নীগ্রামের একটি ছায়াবহুল নিভৃত পথ দিয়ে খরতের RSV