পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিপূর্ণ আলো ও অজস্র বিহঙ্গাকাকালীর মধ্যে প্ৰতিদিন স্কুলে যাই, আবু একটি গ্ৰাম্য বধুকে দেখি পথিপার্থের একটি পুকুর থেকে জল নিয়ে কলসী কক্ষে প্রতিদিন স্নান করে ফেরেন । প্ৰায়ই তার সঙ্গে আমার দেখা হয়-কিন্তু দেখা, ওই পর্যন্ত । তার পরিচয় আমার অজ্ঞাত এবং বোধ হয় অজ্ঞাত বলেই একটি রহস্যময়ী মূর্তিতে তিনি আমার মানসপটে একটা সাময়িক রেখা অঙ্কিত করেছিলেন । মনে মনে ভাবলাম। এই প্ৰতিদিনের দেখা অথচ সম্পূর্ণ অপরিচিত বাধুটিকে কেন্দ্র করে একটি গল্প আরম্ভ করা যাক তো, কি হয় দেখি ! গল্প শেষ করে সেই গ্রামের দু-একজনকে পডে শোনালামপাচুকেও । কেউ বলে ভাল হয়েচে, কেউ বলে মন্দ হয়নি। আমার একটি বন্ধুকে কলকাতা থেকে নিমন্ত্রণ করে গল্পটি শুনিয়ে দিলাম। সে ৭ বললে ভাল হয়েচে । আমি তখন একেবারে কঁচা লেখক ; নিজের ক্ষমতাব ওপর কোন বিশ্বাস আন্দেী জন্মায়নি । যে আত্মপ্ৰত্যয় লেখকের একটি DDD JDSBDB BDBB DS S DBB BBD DS DJDES S BDBB DDBBLBBS S DyyD নির্ভরশীল না হয়ে উপায় কি ? আমার কলকাতার বন্ধুটির সমঝদারিত্বে ওপর আমার শ্রদ্ধা ছিল- তার মত শুনে খুশি হলাম । পাডাগায়ে স্কুল,মাস্টারি করি । কলকাতার কোন সাহিত্যিক বা পত্রিক - সম্পাদককেই চিনি না-সুতবা লেখা ছাপানো সম্বন্ধে আমায় একপ্রকা হতাশ হতে হল । এইভাবে পূজার অবকাশ এসে গেল, ছুটিতে দেশে গিয়ে, কিছুদিন কাটিয়ে এলাম । পুনরায় ফিরে এসে কাগজপত্রের মধ্যে থেকে আমার সেই লেখাটি একদিন বার করে ভাবলাম আজ এটি কলকাতায় নিয়ে গিয়ে একবার চেষ্টা করে দেখা যাক । ঘুরতে ঘুরতে একটা পত্রিক। আপিসের সামনে এসে পডা গেল। আমাৰ মত অজ্ঞাত অখ্যাত নতুন লেখকের রচনা। তারা ছাপবে, এ দুৱাশা আমার ছিল না, তবু সাহস করে গিয়ে ঢুকে পড়লাম। দেখা যাক না কি হয়, কোিট খেয়ে তো ফেলবে না, না হয় লেখা না-ই ছাপবে। ঘরে ঢুকেই একটি ছোট টেবিলের সামনে র্যাকে কর্মরত দেখলাম, তাকে নমস্কার করে ভয়ে ভয়ে বলি“একটি লেখা এনেছিলাম-” , ভদ্রলোক মৃদুস্বরে জিজ্ঞেস করলেন, “আর কোথাও আপনার লেখা বেরিয়েছিল ? আচ্ছা, রেখে যান, মনোনীত না হলে ফেরত যাবে। ঠিকানাটা রেখে যাবেন।” লেখা দিয়ে এসে স্কুলের সহকর্মী ও গ্রামের আলাপী বন্ধুদের বলি R88