পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দাডিয়ে আছি। এমন সময় রবীন্দ্রনাথ ঢুকলেন পেছনে ছাত্রদের ভিডেৰ মধ্যেকার সরু পথ দিয়ে। দীর্ঘ দেহ, দীর্দ শ্মশ্র, সৌম্য সুন্দব মুতি। তার আগে ছবিতে তার চেহারা দেখেছি অনেকবার, কিন্তু তাকে দেখে মনে হল কোন ফটোই তার প্রতি সুবিচার করেনি। কি একটি অনন্যসাধারণ দীপ্ত দৃষ্টি চোখে, চিবুকের নিচে শ্মশ্রীরাজির বাকী ভাব। একেবাবে ভােব কাছে ঘেষে দাডিয়েছি। তার অতটা নিকটসন্নিধ্য-লাভেব আনন্দে তখন আমি আত্মহারা । দেশে গিয়ে গল্প করবাব মত একটা ঘটনা বটে আজ । সেঃ রবীন্দ্ৰনাথ ঠাকুর , ছেলে বেলায ভাব কবিতা গগন পালেব মুখে প্ৰথম শু.ে মুগ্ধ হই । বেশ মনে আছে, হোস্টেলের সুপাবিণ্টেণ্ডেণ্ট কেনেডি সাহেব ববীন্দ্ৰনাথের সামনের টেবিলোব বন্ড একটা কঁাচেব জগ ভর্তি কবে জল ও একটা গ্লাস রাখলেন। দেখে সকৌতুকে ভাবলাম, দেখা কেনেডি সাহেবের কাণ্ড । অতী জল কি খাওয়ার দরকার হবে ওঁর ? রবীন্দ্ৰনাথ বক্তৃতা দিতে উঠলেন। তঁাব কণ্ঠস্বব ক্যানে যেতে যেন চম( ' উঠলাম, তারপর যতই শুনি, মন্ত্রমুগ্ধেৰ মত তব মুখেব দিকে চেযে রইলাম এমন কণ্ঠস্বর আর কখনও শুনিনি, মনে হল এ কণ্ঠস্বৰ অসাধাবণ, জীবনে এ এমন কণ্ঠস্বর কানো গেল, যা হাজার লোকোব মধ্যেও পথক কবে চিনে নে ওই চলবে । তার বক্তৃতার আর কোন কথা আমার মনে নেই, বহুদিনেব কথাকেবল মনে আছে, তিনি বক্তৃতাব মধ্যে একটা কথা অনবদ্য ভঙ্গিতে ভান হ ! নেড়ে চাপার কলির মত অঙ্গুলির সাহায্যে ( যারা ববীন্দ্রনাথকে দেখেচে, সবাই জানেন তার আঙ্গুল দেখলে চাপাকলির কথা মনে হত) একটি সুশ্ৰী মু” রচনা করে বললেন, “কল্প লোক • • • কল্প লোক”-কযেকবার তিনি কথাটি ব্যবহ ? করলেন বক্তৃতার মধ্যে, আবও অনেককিছু বলেছিলেন, মনে নেই। একটা কথা মনে আছে। সেদিন সেন্ট পলস হোস্টেলেব মাঠে কি তেমন ভিড হয়নি, অন্তত যেমন ভিড় দেখেছিলুম। ১৯২১ খ্ৰীষ্টাব্দে ইউনিভাবিশি। ইনষ্টিটিউট হলে তার বক্তৃতার সময়, ইউরোপ থেকে তার প্রত্যাবর্তনে' অব্যবহিত পরেই কৌতুহলী জনতার চাপে ইনষ্টিটিউটের দরজা ও রে*ি সেদিন ভেঙে গুড়িয়ে গিয়েছিল। হোস্টেলের মাঠে ক্ৰমে ছায়া পড়ে এপ। বক্তৃতা শেষ হয়ে গেল। আমরা সবাই ঠেলা ঠেলি করে তঁর পায়ের ** S 8bም