পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিযেছে সংস্কৃত সাহিত্যে । জীবজন্তুর চরিত্র অবলম্বনে সুন্দর ছোট গল্প বুচনা সংস্কৃত সাহিত্যের একটা স্বীয় বৈশিষ্ট্য। যেটা ইংরিজি সাহিত্যে একটু পাওয়া গেছে ঈশপের ‘ফেবলাস’-এর মত গল্পগুলোতে। সংস্কৃত গল্পগুলোতে আবার প্রযুজ্য হয়েছে ছোট ছোট শ্লোক, যেগুলোর লোকপ্রিয়তা মাজ ও হারায়নি, দৈনন্দিন জীবনযাপনে পথপ্রদর্শকের কাজ করে আসচে। জীবজন্তুর চরিত্র সৃষ্টি করে নীতিগত গল্প রচনার একটা কারণ আমরা পাই সমালোচকদের কাছে । গল্পগুলোর রচনার যুগে ভারতবাসী প্ৰধানতঃ বাস চািরত মুক্ত গ্ৰাম্য অবতা ওয়ায় । তাই তাদের জীবন ও চরিত্র গঠনে প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যের দান ছিল অনেকটা । একই প্ৰাকৃতিক আবহাওয়ায় পুষ্ট নানা শ্রেণীর জীব ও মানুষেৰ প্ৰিয় হয়ে উঠেছিল ও অনেক ক্ষেত্রে wাদের সঙ্গাচর ও হয়ে পড়েছিল- যা আমরা আজও দেখি কুকুর, বিড়াল, 7রু, ঘোড়া ও নানা রকম পাখি পোষার প্রবৃত্তিতে । মানুষের এই রকম জীবনযাত্ৰা প্ৰতিফলিত হয়েছিল তখনকার সাহিত্যে ও কাব্যে । ঋকবেদেও আমবা পেয়েছি। বর্ষারম্ভে ভেকের ডাক ঘোষণা করুত ব্ৰাহ্মণদের পূজা উপসনার সময় । উপনিষদেও আছে কুকুরের ‘উদগীত’ যা” নির্দেশ দিত নাকি ঋষিদের তপ-জাপের । তাছাড়া রাজনীতি ক্ষেত্রেও জীবজন্তুর চরিত্রের উপমার সাহায্য নেওয়া হত। কুটনীতি সহজভাবে বুঝতে। সোনার বিষ্ঠাত্যাগ পাখির গল্পের সাহায্যে বিদূরকে দেখা যায় ধৃতরাষ্ট্রকে পরামর্শ দিতে পাণ্ডবদের বিষয়। বৌদ্ধ জাতকেও পাওয়া যায়ু পশু পাখিদের গল্পের ভিতর দিয়ে বৌদ্ধ ধর্মের সহজ আলোচনা করতে । এই রকম যে সব নীতিগল্প অমরত পেয়েছে সংস্কৃত সাহিত্যে তাদের মধ্যে প্ৰধান হচ্ছে ‘পঞ্চ তন্ত্র্যাখ্যায়িকা’ ও ‘হিতোপদেশ’ । ‘পঞ্চতন্ত্ৰাখ্যায়িকা’ বা ‘পঞ্চতন্ত্রী রচিত হয়েছিল সংস্কৃতভাষায় যে ভাষা দ্বিতীয় শতাব্দীতে রাজদরবারের ভাষা বলে পরিচিত হয়েছিল। এর রচয়িতা ছিলেন পণ্ডিত বিষ্ণুশৰ্মা। মহিলারোপ্যের রাজা আমরশক্তির মূর্থি পুত্রদের তন্ত্রশাস্ত্রে শিক্ষিত করার উদ্দেশ্যে বিষ্ণুশৰ্মা যে পাঁচটি তন্ত্র রচনা করেছিলেন। তাই পঞ্চতন্ত্র নামে খ্যাত । রাষ্ট্রীয় ব্যাপারে রাজকাৰ্য চালনার নীতি ও উপায়গুলো সহজভাবে গল্পের মধ্যে দিয়ে বোঝাবার উদ্দেশ্যেই রচিত হয়েছিল পঞ্চতন্ত্র। রচনা সম্বন্ধে পণ্ডিতদের মধ্যেও আবার দেখা যায় মতদ্বৈধ। একদল বলেন, রচনার গোড়ায় ষার প্রভাৰ ছিল সেটা হচ্ছে খ্ৰীষ্টপূর্ব তিনশ’ অব্দের আগে কাশ্মীরি ভাষায় লিখিত ‘তন্ত্ৰাখ্যায়িকা’ নামে গ্ৰন্থটি। আর একদলের মতে, এতে খানিকটা RC V9