পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবিশ্ৰান্ত জলপতনধ্বনি ও ঝি ঝি পোকা এবং নৈশ পাখির কুজন দ্বারা বিখণ্ডিত সেই গম্ভীর নৈঃশব্দ্য বর্ণনার জিনিস নয়, উপলব্ধি করার জিনিস। না দেখলে উপলব্ধি হবেই বা কেমন করে। বনের মধ্যে পাষাণময় তীরভূমির মধ্য দিয়ে কইনা নদী বয়ে যাচ্চে, জ্যোৎস্নালোকে আজ আমরা সেখানে রাত্রে পিকনিক কবীতে যাব ঠিক হয়েচে । এ অঞ্চলের সর্বোচ্চ পর্বতশিখর শশাংদাবুরু ৩,০৩৮ ফুট উঁচু। সারা সকাল ধরে বনের মধ্যে দিয়ে পরশু আমরা এই শিখরে উঠেছিলুম। অত্যন্ত দুরারোহ ও ঘন বনে আচ্ছন্ন সরু পথ দিয়ে উঠচি, উঠচি, তার যেন আর শেষ নাই । এক একটা শালগাছ কলের চিমনির মত ঠেলে উঠেচে আকাশে, কোথাও বন্য দিবাকাঞ্চন ফুলের মেলা আরও কত কি বনকুসুম ফুটে আছে লোকচক্ষুর অন্তরালে কে তাদের নাম জানে ? কোথাও ঝর-ঝর কারচে পাহাড়ী ঝরনা, “শংদাবুরু শিখরদেশ থেকে খাড়া নিচে পড়চে, বনে বনে প্রতিধ্বনিত হচ্চে সে শব্দ। কোথাও বনের মধ্যে বুনো রামকলা গাছ। কে থায় সে কলা হাতী আর বঁােদর ছাড়া ? এই সারাণ্ড অরণ্য অবিচ্ছেদে ৪০০ বর্গমাইল জনহীন, শুধু বনবিভাগের বাংলো ছাড়া কোন থাকবার জায়গা নেই, বনবিভাগের তৈরী মোটর রোড ছাড়া রাস্তা নেই। উঠতে উঠতে ঘন ঘন ইপিাচ্চি, বুকের মধ্যে 2 তুিড়ির ঘা মারচে, পা সামান্য তুলতেও কষ্ট হচ্চে। আবার বনের মধ্যে এত বেলাতেও সুর্যের আলো পড়েনি, সে নিবিড়তা গাম্ভীর্যের তুলনা কোথায় ? ধুমপান করার জন্যে সেই খাড়া পথের এক জায়গায় বসলুম, সামনের দৃশ্য আরও স্পষ্ট করবার জন্তে ফরেস্ট গার্ড কুডুল দিয়ে একটা আমলকি গাছের ডাল কাটিলে। তখন দেখি অনেক উঁচুতে উঠে গিয়েচি, কত নিচে উপত্যক-দূরে দরে শুধুই বননীল শৈলশিখর ! যেদিকে চাই, পাহাড়, পাহাড় আর বন, বন! বড় বড় কেলিকদম্বের পাতা বিছিয়ে বসেচি খাড়া বঁকা পথটার গায়ে । গড়গড়িয়ে যদি পড়ি তবে ২০০ ফুট নিচে উপত্যকারী পাষাণময় ভূমিতে পড়ে চূৰ্ণ হয়ে যাব। ওপরে উঠে গেলুম তখন বেলা দুটো। ওপরে উঠে দেখিবঁারে, যেন খয়রামাবির মাঠ ! অনেকখানি সমতল মাঠ, দু’ মাইল লম্বা, প্ৰায় LD DDDD LDDDDDDDSS BBD BDS DDD DDD DD BBDBDDSBBBBB ও শাল। এক জায়গায় একটা জলাশয়, তার তীরে নরম কাদায় বহু গরুমহিষের পদচিহ্ন। আমি বললুম, এখানে গৰু চরে কাদের ? রেঞ্জ অফিসার গুপ্ত হেসে বললেন, গরু কোথা থেকে আসবে। এ জনহীন অরণ্যের ৩০ ০০ ফুট VR6t Q