পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

झदौडयनाथ বিখ্যাত ইংরাজ ঐতিহাসিক লর্ড এ্যাক্টন একবার বলেছিলেন যে উনবিংশ শতাব্দীর মানুষের পক্ষে নবম বা দশম শতাব্দীর মানুষের মনস্তত্ত্ব বোঝা বড়ই কঠিন ; কারণ রাষ্ট্রে, সমাজে, কাৰ্যে, চিন্তায় ও ধর্মে তারা ছিল সম্পূর্ণ অন্য পূবনের মানুষ-বর্তমান যুগের মানুষের সঙ্গে তাদের কোথাও কোনো মিল নেই। এই মূলসূত্রটি মনে রাখলে ইতিহাসের সকল অবিচার, নৃশংসতা ও অকারণ রক্তলোভের কাহিনী আজকাল আমাদের দুর্বোধ্য বলে মনে হয়, তা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক বলে মনে হবে, কাবণ সে যুগেব মনোবৃত্তির সঙ্গে এদের *ায্যকারণ-সম্পৰ্কটুকু আমবা আবিষ্কার করে ফেলবো । লর্ড এ্যাক্টনের উক্তিটি ব্যাপকভাবে যদি গ্ৰহণ করি এবং এর অন্তর্নিহিত এ ব্লুটুকু বুঝতে চেষ্টা করি, তাহ’লে এই দাড়ায় যে শতাব্দীর পর শতাব্দী যতই পার হয়ে যাচ্চে, মানুষ ততই দ্রুত এগিয়ে চলেচে- এক যুগের গোড়ামি, র্যান্ধতা, কুসংস্কার অন্য যুগের মানুষের পক্ষে পরম বিস্ময়ের বস্তু, এ যুগেব মির্যাকল পৰ্ববতী যুগের সুপরিচিত দৈনিক ঘটনা-সহস্ৰ শতাব্দীর পারের কোন সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যেব উদ্দেশে তার যাত্রা, এখন সে গৌরবময় বিবর্তনের কাহিনী আমাদের কল্পনার ও অতীত । বিশ্বমানবের এই অগ্রগতির সাহায্যেবা জন্য মাঝে মাঝে এক একজন লোক আসেন, র্যারা একাধারে মানুষের সকল দিকে সকল পরিণতির আদশ । পবীন্দ্রনাথ আমাদের মধ্যে সেই রকম একটি মানুষ। যে অসীমতার তৃষ্ণ মানুষের এই অগ্রগমনের সাখী ও পথপ্রদর্শক রবীন্দ্ৰনাথের লেখার মধ্যে দিয়ে তা আমাদের সাহিত্যে সর্বপ্রথম একটি মৌলিক রূপ ধরে দেখা দিয়েচে । এমন “ক সময় ছিল যখন আমাদের দেশের লেখকের উৎকর্ষতার পরিচয় দিতে হ’লে প্রতীচীর সেই শ্রেণীর লেখককে মাপকাঠিরূপে ব্যবহার করা হোত-এইটাই ছিল পাহিত্যে তঁদের স্থাননির্ণয়ের প্রকৃষ্ট পদ্ধতি। তাই দেশবাসীরা বঙ্কিমচন্দ্রকে বাংলার সার ওয়ান্টার স্কটু, মধুসুদনকে বাংলার মিল্টন, কালীপ্রসন্ন ঘোষকে বা গুলার এমার্সন নামে অভিহিত করে সাহিত্যে তঁদের স্থান সুনিপুণভাবে নির্দিষ্ট করা হয়ে গিয়েচে ভেবে পরম আনন্দে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতেন । আমাদের সাহিত্যের এই পরমুখাপেক্ষী দাসমনোবৃত্তি দূর করলেন রবীন্দ্রনাথ RVND