পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবি-প্ৰশস্তি বাংলা-সাহিত্যকে রবীন্দ্রনাথ নতুন করিয়া গড়িয়াছিলেন। তঁহার অক্লান্থ সাধনায় এ সাহিত্য যে নবকােপ পরিগ্ৰহ করিয়াছে, বিশ্বসাহিত্যে তাহার স্থান অতি উচ্চে। একথা আমরা সগৰ্বে ঘোষণা করিয়া ধন্য হইতেছি। সীম' সংখ্যাহীন অবদান পরস্পরায় রবিন্দ্ৰসাহিত্য মহনীয়। জগতের কোন একটি বিশেষ লেখক সম্বন্ধে একথা খাটে না। রবীন্দ্রনাথের প্রতিভা এমনি বহুমুখী ;ে অল্প পরিসরের মধ্যে সে বিরাট সাহিত্য প্ৰতিভার সম্যক পরিচয় দেওয়া অসন্ত? হইয়া উঠে। কাব্যে, সঙ্গীতে, নাটকে, উপন্যাসে, ছোটগল্পে, সমালোচনায় ধৰ্মসম্বন্ধীয় নিবন্ধে, পরিভাষা সঙ্কলনে--সাহিত্যোব এমন কোন ক্ষেত্ৰ নাই যা, হত্যু র্তাহার দানে সমৃদ্ধ হইয়া উঠে নাই । বাংলা সাহিত্যের বিরাট মানদণ্ড স্বৰূপ যে রবীন্দ্ৰ-সাহিত্য আজ আমাদের মুগ্ধ চক্ষুর সম্মুখে প্ৰকাশমান, নগাধিৰাজ হিমালয়ের মত তাতার উত্তঙ্গ শিখরদেশের সাধারণ দৃষ্টিৰ নাগালের বাহিবে? জিনিস । রবীন্দ্রনাথের কবিতােব মূল প্রেরণা সৌন্দর্ঘ্য ও অনুভূতি। তাত বাহ্য অলঙ্কার প্রকাশ হইয়াছে অপূর্ব শব্দ-চয়ন, ছন্দধ্বনি ও অলঙ্কাৰ প্ৰকাশে। কৌশলের দ্বারা। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শিল্পকাৰ্যগুলির মূল ভিত্তি হইতেছে সৌন্দর্যানুভূতি। Leonardo-র Gioconda অথবা বেঠোফোনের পরিকল্পিত Symphony-9 যে-সৌন্দর্য, ইহাদের প্রথমটির भृtल ऊ८ष् ८५ || $ বর্ণের অপূৰ্ব সমাবেশ ও দ্বিতীয়টিৰ মূলে সুকৌশল ধ্বনি-সমন্বয়। তথাপি একথাও অনস্বীকাৰ্য যে দুইটি শিল্প-কাৰ্য আমাদের চিত্তে যে কল্পনাকে রচনা করে তাহ নিশ্চয়ই কেবলমাত্র দৃশ্যমাত্ৰ বৰ্ণ-সমষ্টি শ্রুতিধ্বনি সমষ্টি উদ্ভূত হইতে পারে না । বস্তুতঃ এই আনন্দলোক সৃষ্টির মূলে আছে। এই ধ্বনি ও বর্ণনাতীত কোন অদৃশ্য প্রভাব এবং একটি ইন্দ্ৰিয়াতীত অনুভূতি। আবাব, যদিও এই বর্ণ ও ধ্বনির মাধ্যমেই সেই অতীন্দ্ৰিয় আত্মিক অনুভূতির বিকাশ সম্ভব হয়, ইহাও নিশ্চিত যে এই অনুভূতি বর্ণ ও ধ্বনির বহু ঊর্ধের্ব স্থাপিত এক মহত্তর সত্য। কবি রসবন্ধ বাক্য পাঠ করিয়া বা রচনা কবিয়া যে আনন্দানুভূতির সন্ধান পান, একজন খ্ৰীস্ট, বুদ্ধ অথবা চৈতন্য সদৃশ ব্যক্তি বিশুদ্ধ আত্মিক উপলব্ধিৰ পথেই সে আনন্দের সন্ধান পাইতে পারেন । কিন্তু এ ক্ষমতা নিম্নতর কোন