পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিস্মিত আদ্রিত হইয়াছিলাম। তাহার সুকুমার কণ্ঠের আবৃত্তির মাধু আমরা বিমোহিত হইয়াছিলাম একজন সুপরিচিত কবি সেখানে উপস্থিত। ছিলেন। তিনি দ্রাবিত হৃদয়ে বলিলেন, “যখন এই কবি প্ৰস্ফুটিত কুসুমে পৰিণত হইবেন, তখন দুঃখিনী বঙ্গের একটি অমূল্য রত্নলাভ হইবে। এই কবি নবীনচন্দ্ৰ সেন । নবীনচন্দ্ৰ সেনের ‘আমার জীবন’ গ্রন্থেব চতথ ভাগে এই প্রসঙ্গে লিখিয়াছেন । “স্মবাণ হয় ১৮৭৬ খ্রীস্টাব্দে [ বস্তুত ১৮৭৭ খ্রীস্টােব্দ ] আমি কলিক। • ছুটিতে থাকিবার সমযে কলিকতাব উপনগবস্তু কোন ও উদ্যানে “নেশন । মেলা” দেখিতে গিয়াছিলাম। ... একজন সদ্যাপবিচিত বন্ধু মেলাব ভিডে অ্যাম/ন্ধ “পাকডাও’ কবিয়া বলিলেন যে একটি লোক আমার সঙ্গে পৰি১ি৩ হইতে চাহিতেছেন। তিনি অমাব হাত ধৰিয়া উদ্যানেল এক কোণাব এ • প্ৰকাণ্ড বৃক্ষতলায় লইয়া গেলেন । দেখিলাম। সেখানে সাদা চিলা ইe ? চাপিকান পরিহিত একটি সুন্দাব নপযুবক দাডাইয়া আছেন । বয়স ১৮। ১৯, শান্ত স্থির। বৃক্ষতলায় যেন একটি স্বর্ণমূর্তি স্তাবিত হইয়াছে । বন্ধু বলিলেন। — ‘ইনি মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর্বে কনিষ্ঠ পুত্ৰ ববীন্দ্রনাথ। তাত বা শোষ্টি জ্যোতিবিন্দ্ৰনাথ প্রেসিডেন্সি কলেজে। আমাৰ সহপাঠী ছিলেন । দেখি । , সেই ৰূপ সেই পোশাক । হাসিমুখে করমদন কার্যটি শেষ হহ’লে তিনি প. – হইতে একটি “নোটবুক’ বাহিব কবিয়া কয়েকটি গীত গাহিলেন ও কতোক ? কবিতা গীতকণ্ঠে পাঠ কবিলেন। মধুব কামিনীলাঞ্ছনকণ্ঠে, এ<” কবিতার মাধুর্য ও ক্ষুটনোমুখ প্ৰতিভাষ আমি মুগ্ধ হইলাম।” যে রবীন্দ্রনাথেব যশোগৌরব উত্তদকালে সমগ্র জগতে পরিব্যাপ হইবে - সেই রবীন্দ্ৰনাথ কিশোব বয়সে খ্যাতিলোলুপ অকুণ্ঠ মনেব সমস্ত উৎসাহ ঢালি" তৎকালীন প্রসিদ্ধ কবিদেব নিজে যাচিযা যাচিঘা কবিতা শোনাইতেছে" ও গান গাহিতেছেন-এ ছবিটি আমাদেব বডি মুগ্ধ করে। কল্পনানেত্ৰে অ{x|< দেখিতে পাই হিন্দুমেলায় লোকে বা ভিডেব আডালে একটি নিভৃত বৃক্ষত" দণ্ডায়মান যশোলোলুপ সলজ্জাকণ্ঠ কিশোর রবীন্দ্রনাথকে । নবীনচন্দ্র সেনে ভবিষ্যদ্বাণী মিথ্যা হয় নাই । রবীন্দ্রনাথের কথা শেষ হইবার নয়, সে চেষ্টা করিব না। তবে একটি কথ না বলিলে রবীন্দ্ৰনাথ সম্বন্ধে কিছুই বলা হয় না-সেটি হইতেছে রবীন্দ্রনাথে উপর বিশ্ব-প্রকৃতির অদ্ভুত প্ৰভাব। র্তাহার সারা কাব্যের মধ্যে আমরা দেখিৰে ܘ ܘ ܕ