পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সৃষ্টি । যেদিন বাংলার লেখকের দেশের সমস্যাগুলি সম্বন্ধে অবহিত হবেন, দুদিন সেই প্রসারিত চেতনা তাদের বাধ্য করবে ব্যাপক রাষ্ট্রীয় সমস্যা ও সমাজ সমস্যাকে আশ্রয় করে গল্প ও উপন্যাস লিখতে । এই ব্যাপক চেতনার লক্ষণ বহু :-খকের সাম্প্রতিক রচনায় সুস্পষ্টরূপে ফুটে উঠেচে। একটি জীবন্ত সাহিত্য -ভিন্ন আঙ্গিক ও মাধ্যমে দেশের সমস্যাগুলিকে ইতিহাসের পাতায় অক্ষয় করে ধখে দিচ্ছে । বহু লেখার আবশ্যক কি ? একখানি সার্থক রচনায় এক এক গকে অমর করে রাখে। যেমন সোভিয়েট রাশিয়ার দুঃখদুর্দশার চিত্ৰ ফুটে উঠেচে ওয়েলেস্কির বিখ্যাত উপন্যাসখানিতে । রবীন্দ্ৰনাথ তার রচনার মধ্যে দি যে ভারতব্যাপী বিরাট রাষ্ট্র-আন্দোলনের চিত্ৰকে অমর করে রেখে গেলেন । দের প্রতিভা এ সব রচনাকে অপূর্ব আঙ্গিকের মধ্য দিয়ে যুগ প্রয়োজনের ধর্ব উন্নীত করে দিয়েচে । চেতনা যে কিভাবে অমর সাহিত্য হয়ে উঠতে রে, তার খোজ নিতে গেলে ওগুলির সঙ্গে সম্যক পরিচয় হওয়া প্ৰয়োজন । একটা যুগ চলে যাচ্চে, ভেঙে যাচ্চে-এ খুব সত্যি কথা । এ যুগে স্ব ভাবতই কবি বা শিল্প-মানস কিছু অব্যবস্থিত। নতুন সময়ের আভাসে &কৃতিস্থ হয়ে উঠেচে, এমন মন এখন হয়ত বিবােল । হয়ত অত্যন্ত নিকট থেকে (-খচি বলে অনেক নতুন রচনাকে, অনেক দুঃসাহসিক এক্সপেরিমেন্টকে আমরা ৭ জে আধুনিকতা বলে ভুল করাচি। রবীন্দ্রনাথের ‘কৰ্ণ-কুন্তী সংবাদ’ যখন বচিত হয়েছিল, তখন সেকালের অনেক বিজ্ঞ সমালোচক বলেছিলেন, • হাভারতের কথা নিয়ে এ আবার কি রকম কাব্য ?” আমরা আবার যেন গ্নকর্তাদের দলে না পড়ি। কবি-মানস কোন দিন হুজুকের বশীভূত হবেন না। দিনের হাততালিকে অবজ্ঞা করলেও তার চলবে। অনর্থক কালাপাহাড়ী যখানে দেখানে তার সত্য শুভ্র ও কল্যাণদৃষ্টি কখনো সায় দেবে না। শিল্পীর কল রচনার মধ্যে থাকবে একটি চবিত্র। রচনার ওপর এই চরিত্রের দৃঢ় it iাই পাঠকের মনে এনে দেবে নিঃসংশয় নির্ভরশীলতা। এ আমরা যেন আদৌ ভুলিনে যে কোন রচনায় আধুনিক যুগের সমস্যা স্বাছে কি না, রাজনীতির ক্ষেত্রে লেখকের দৃষ্টি স্বচ্ছ না ঘোলাটে, দুর্ভিক্ষের কথা ঠিক করে বলা হল কি না-এ সব দেখে সাহিতা বিচার হয় না। আজকাল না। কারণে আমাদের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে এসেচে, মন হয়ে এসেচে। নিস্তেজ । *ালোচনার আদর্শ অন্য রকম হয়ে দাড়াচ্চে। জীবনের শাশ্বত ধ্রুব সত্যকে মিরা এখন অস্বীকার করে চলেচি। যে দেশে গীতার মত সাহিত্য রচিত। RA