পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গল্প ও উপন্যাসের ক্ষেত্রে বাংলা সাহিত্যের গর্ব করবার জিনিস রয়েচে । নবতর বাহিনীর অশ্বক্ষুরোখিত ধুলি দিকচক্রবালে দেখা দিয়েচে । সেই আশাৱ বাণীটি উচ্চারণ করে আমি আমার বক্তব্য শেষ করবো। অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি। বঙ্গবাণীর বেদীমূলে কয়েক জন শক্তিধর নবীন লেখকের আবির্ভাব । এতে এই প্রমাণ হ’ল যে বা ‘গণার প্রাণশক্তিবু উৎস আজও •ে মনি সজীব, যেমন ছিল মুকুন্দরামের চণ্ডাব বোর যুগে, যেমন ছিল ভারতচন্দ্ৰেৰ যুগে, যেমন ছিল ‘নববাবু বিলাসের' ভবানী বন্দোপাধ্যায়েব যুণে, যেমন সেদিনও দেখেছি বঙ্কিম-শরৎ-রবীন্দ্রনাথে ব যুগে। এরা নব্য বাংলার প্রাণস্পন্দন শুনতে পেয়েচোন । সে সুর বেজে উঠেচে এদের লেখায়। যে মাটিতে রবীন্দ্ৰনাথ জন্মগ্রহণ করেন সে মাটি অজস্র অমর। ভবিষ্যতের বিপুল সম্ভাব্যতাকে তা নিজের মধ্যে বহন ক<েচে । আর একটি কথা সকলের শেষে বলি । সাহিত্য আমাদের মনকে অমৃ৩রস দ্বাবা বলবান করেচে। তা যে কোন আঙ্গিকের মধ্য দিয়েই হোক না কেন। নিগৃঢ় বিশ্ব-রহস্যের অন্তরক্রম বস্তুটির সন্ধানে যে আনন্দ, যে আনন্দ তার আবিষ্কারো-উপনিষদেখি ঋণি স্বত:স্ফু6 আনন্দের মন্ত্রে তার রূপ আমরা দেখেছি । সুতরাং এ ও সাহিত্যের যে একটা বড় দিক তা আমাদের মনে রাখা উচিত । সাহিত্য আমাদের পরিচিত করচে জীবনেব চরমতম প্রশ্নগুলির সঙ্গে দেবে আমাদের উদার মৃতুঞ্জয় দৃষ্টি ; সকলে সুখ-দুঃখের উর্ধের্ব যে অসীম অবকাশ ও তৃপ্তি আমাদের পরিচিত কপূবে সেই অব ১৮শ ও তৃপ্তির সঙ্গে । SGGDDS DB BBBD D DDBBDBDD S DBD KE S যে জ্যোতির মধ্যে বিশ্বদেবের কল্য।ণতম মূর্তি অধিষ্ঠিত, আমরা যেন দেবতার সেই জ্যোতিকে—দৈনন্দিন জীবনে স্তীর্ণ বৃহত্তব অনুভূতি ও ভাবকে সাহিত্যের মধ্য দিয়ে দর্শন করি। সাহিত্য শুধু রসবিলাস পায় । জীবনের দুঃখ, পরাজয় ও ব্যর্থতার দিনে যে সাহি৩rkসিক পাঠক আচঞ্চল থাকেন, দারিদ্র্যের মধ্যেও যিনি নিজেকে হেয়ঞ্জান না করে মাথা উঁচু করে দাঁড়বার সাহস রাখেন, সাহিত্য নিয়ে নাড়াচাড়া তার সার্থক। জীবন সমস্যাগুলির সমাধানের গৃঢ় প্রেরণা যে সাহিত্যে তার মধ্যে আমরা পাব কলালক্ষ্মীর কল্যাণতম মূর্তিটির সন্ধান। আর্টের পুরোনো রস-চক্ৰে যদি আমরা এখনও ঘুরপাক খেয়ে মরি, তবে S ዓ ዓ বি, বী,-১৯