পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नाष्ट्रिङा ७ नभख्ञि মাননীয় সভাপতি মহাশয়, অভ্যর্থনা সমিতিৰ সভাপতি মহাশয়, সাহিত্য শাখার সভাপতি মহাশয, সমবেত ভদ্রমহিলাবৃন্দ ও বন্ধগণ— প্রবাসী বঙ্গসাহিত্য সম্মেলনে সমগ্ৰ উত্তর ভারতের বাঙালী সমাজেব সাহিত্যিক প্রতিনিধি । আমার সৌভাগ্য যে, আজ বাংলা দেশ থেকে এই সুদূর মীবাটে এসে সেই সম্মেলনেব। উৎসব স্বচক্ষে দেখবাব সুযোগলাভ ক বেছি । আপনাদের সম্মেলনে ( বঙ্গী-সাহিত্য শাখাৰ ) পৌৰোহি ৩্য করতে আহবান করে আমাকে আপনাবা যে সম্মান দান করেচেন, সেজন্য সর্ব প্ৰথমেই আমি “আপনাদের নিকট কৃতজ্ঞতা স্বীকার কবি । এই সম্মেলনে যোগদান করার একটি অন্তর্নিহিত তাগিদ। আমার আছে, কারণ লেখকে বা প্ৰথম প্রয়োজন বৃহত্তর সমাজ ও গোষ্ঠীব্য সংস্পর্শে আসা। আপনারা এ সুযোগ দান করেচেন। আমাদের, বাংলার সাহিত্যসেবিগণ সকলেই এর উপকারিতা সম্বন্ধে সচেতন । বতমানে বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে বড় সুসংবাদ, এ সাহিত্য ক্রমশঃ সমাজ-চেতনায় মুখর হয়ে উঠেচে । গত মন্বন্তবের পর থেকে বাংলা সাহিত্যে এই লক্ষণটি অতি সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে আবও বেশি কবে। তাবাশঙ্কর, নাৰায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়, অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত প্ৰভৃতি লেখকগণ এ সম্বন্ধে পথপ্রদর্শক। তাদের বৈশিষ্ট্য একদিন বাংলা সাহিতে্যুপ ইতিহাসে পৃথক অধ্যায় সৃষ্টি করবে। এই সমাজচেতনা ব্যক্তিবোধের সঙ্গে বিবোধিতা করেনি, বরং তাকে আরও বাস্তব ও আরও সক্রিয় করে তুলতে চেয়ে চে। সেই সমাজবোধ অনিষ্টকর, যা কিনা মানুষের দলবদ্ধ জীবনযাপনেব দাবী নিয়ে ব্যক্তিবোধকে ক্ষুন্ন করে। সাহিত্যের সবচেয়ে বড় কথা এই ব্যক্তিবোধ । ব্যক্তি-স্বাতন্ত্র্য ४डिलेब्रि ॐभ ইতিহাসেব সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। মানুষ নিয়ে ইতিহাস, মানুষ নিয়েই সাহিত্য | আশা ও নিরাশার অনুভূতিতে সদাচঞ্চল কতক গুলি মানুষ নিয়েই যেমন সমাজ, তাদেব প্রত্যেকের অনুভূতির চবিতাৰ্থতা দিয়েষ্ট সমাজবোধেব সার্থকতা । চবিতাৰ্থ ব্যক্তিবোধের সমষ্টিতেই সর্থক সমাজ গড়ে ওঠে। অতএব ব্যজিবোধ সাহিত্যে অবাস্তুর নয়, মূল উপাদান। মানুষ আকাশে বাস করে না, *(9i বাস করে , তাই নভোচারী সাহিত্য তাকে স্বপ্নালু করে তুলতে পারে, জীবনযাপনের সমস্যাসমূহের সমাধানে সাহায্য করতে পারে না। S °እ8