পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাংলাদেশ যখন এত বড মন্বন্তরের সম্মুখীন হলো, বাংলার রসস্ত্ৰাসা সাহিত্যিকদের মনে তা যথেষ্ট বেদনা ও আবেগের সৃষ্টি করে গেল। ত প্লা প্ৰথমে চোখ মেলে। চেয়ে দেখাব সুযোগ পেলেন । কল্পনার রসবিলাস নিয়ে, সাহিত্য রচনা করলে তা আজ নিতান্ত আসার বলে পরিগণিত হবে জাতির উগ্ৰ বেদনাবোধের সম্মুখে । জাতিকে তা সাহায্য করবে না, পথ দেখিবে; দিতে পাববে না । দেশকে জাগাতে হবে । মন্বন্তরের কারাল ধ্বংসলীলা। ধ মধ্যে ও বহু নবনারীকে দিব্য আবামে সেনাব পালঙ্কে শুয়ে রাজভোগ খেয়ে মোটরচাৱী বিলাস বাসনেৰ পঙ্কে নিমজ্জিত থাকতে দেখে তারা বুঝলেন, দেশ সজাগ হয়নি । তাবা ঘুম ভাঙানোর ভাব নিয়েছিলেন। প্ৰবোধের ‘অঙ্গাপ’ মনোজ বসুর ‘দ্বীপের মানুষ’ প্ৰভৃতি সেই ঘুম ভাঙানোবা গান। ঘুম ভাঙলো কিনা জানি না, কিন্তু লজিত হলো অনেবোঁ । আজও অনেকে অভিযোগ বা বেন, বাংলা সাহিত্যে এখনো সমাজখে, প, বাষ্ট্রীয় চেতনা প্রভৃতি অন্ধুর অবস্থায্য মাটি থেকে উঁকি মাবিচে। মাত্র। এত বড আগস্ট আন্দোলন, জাতীয আন্দোলন এতটুকু দোলা দেয়নি কথাসাহিত্যিকদের মনে । কোথায় সেই বিপ্লবেব সাহিত্য, যা দেশকে বল দেবে, দেশবাসীর মনে আশা ও উৎসাহ আনবে, পথ দেখিয়ে দেবে ? দু-একজন উন্নাসিক সমালোচক এ নিয়ে সাময়িক পত্রে শুধু অভিযোগ কবেই ক্ষান্ত হননি, বাংলা সাহিত্যিকদের অক্ষমতার ইঙ্গিতও কবোচেন । বাংলাব সাহিত্যিকদের পক্ষ থেকে কোন প্ৰত্যুত্তর দেওয়ার আবশ্যক নেই । লেখা আসে কবিমানসেব অন্তনিহি৩ তাগিদ থেকে । কবিম নাসের বিভিন্ন খাঁ গতি থেকে বিভিন্ন ধরনের লেখাব সৃষ্টি। যেদিন বাংলার লেখকেরা দেশেব সমস্যাগুলি সম্বন্ধে অবহিত হবেন, সেই প্ৰসাবিত চেতনাই তাদের বাধ্য করবে: ব্যাপক রাষ্ট্ৰীয় সমস্যা ও সমাজ সমস্যাকে আশ্ৰয করে গল্প উপন্যাস লিখতে । এই ব্যাপক চেতনাব লক্ষণ সুস্পষ্টৰূপে ফুটে উঠেছে বহু শক্তিশালী লেখকের সাম্প্রতিক রচনায় । আমরা পেযেছি দুর্ভিক্ষ, পেয়েছি আগস্ট আন্দোলন। একটি জীবন্ত সাহিত্য বিভিন্ন অ্যাঙ্গিক ও মাধ্যমে দেশের রাষ্ট্ৰীয় সমস্যাগুলি ইতিহাসের পাতায় অক্ষয় করে বেখে দিচ্চে ৷ বহু লেখাব আবশ্যক কি ? একখানি সার্থক রচনায় এক এক যুগকে অমর করে বাখে, যেমন সোভিয়েট রাশিয়াব দুঃখ-দুর্দশাব চিত্ৰ ফুটে উঠেচে ওয়েলেস্কিার “দি রেনবো’ নামক উপন্যাসে । ববীন্দ্ৰনাথ তার রচনার মধ্যে দিযে। ভারতব্যাপী বিরাট বাষ্ট্র আন্দোলনের চিত্ৰকে Abro