পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনেকে সামযিক হুজুগ বলে উডিয়ে দিতে চেয়েছিল, কিন্তু আজ এই শ্রেণীর উপন্যাস ইউরোপীয় সাহিত্যে ক্রমশঃ দেখা দিতে শুরু করেচে। যদিও একথা নিঃসন্দেহে বলা যায, নামজাদা ইউরোপীয় লেখকদেব মধ্যে প্ৰায় সকলেই সাবেক - পন্থী। ওদেশের পাঠক-মনেরও গ্ৰহীকৃষ্ণুতার প্রসারিত যে আমাদের দেশেব চেয়ে বেশি নয, বৃটিশ সাহিত্যেব দরবারে জন্যেসেব মত খাটি মনন প্ৰধান লেখকের অভ্যর্থনা লক্ষ্য কবলেই সেটি অনুমিত হয়। শরৎচন্দ্রের কিছু পুর্ব থেকে আমাদের সাহি৩্যে একটা অস্পষ্ট ব্যক্তিকেন্দ্ৰিক সুব ধ্বনিত হচ্ছিল। ব্যষ্টিসমষ্টির মুখ চেয়ে কেন নিজের সুখ-সুবিধা বিসর্জন দেবে, এই একটি কঠিন সমস্যামূলক প্রশ্ন ক্রমশঃ ঠেলে উঠছিল সাহি৩্যে শরৎসাহিত্যে সেটি ব্যষ্টিকেন্দ্রের সুব অতি স্পষ্ট হযে উঠলো। এইটিই আসলে শবৎ-সাহিত্যের মূল সুর। সহৃদয়তা ও মানব তা শরৎ-সাহিত্যের আব্ব একটি সুৰ । শবৎচন্দ্রের শ্রেষ্ঠ বইগুলির রচনা যখন প্রায় শেষ হযে এসেচে। তখন বাংলা সাহিত্যে একটি আন্দোলন সুরু হলো, এই আন্দোলনটি অতি উগ্রভাবে ব্যষ্টিকেন্দ্ৰিক । “কালি-কলম” ছিল এই আন্দোলনের নেতৃস্থানীযদিগেৰ অন্যতম মুখপত্র। ব্যক্তিত্বের উদাম সাধনাই এই সময়ের বহু গল্প ও কবিতার মূলতত্ত্ব। ঐ একই মূলতত্ত্বের অঙ্গ হিসেবে নানা যৌন সমস্যা বাস্তব বা কাল্পনিক বিভিন্ন বৃঙে প্রতিফলিত হয়ে দেখা দিতে লাগলে পাঠকদের সামনে। ای আন্দোলন যথেষ্ট তিরস্কৃত হযেছিল। সে সমখ, সে কথা সে-খুগেব পাঠকে বা অজ্ঞাত নয়, কিন্তু সেই নব আলোডনেব সংহত শক্তি বাংলাষ একদল পত্নশ ( - পাঠিকা তৈবি কবেছিল। লেখকদেব নব দৃষ্টিভঙ্গি অলক্ষ্যে আশ্ৰয কবেছিল পাঠকদেব। সাহিত্যের ইতিহাসে একটি বড় সুলক্ষণ এই যে, পর্ব আন্দোল*ে* লেখকবা গ্ৰহীকৄষ্ণু পাঠকদল সৃষ্টি কবেন । যাদের বসবোধ ও দষ্টিভঙ্গি পূর্ব যুগের পাঠক সম্প্রদায়েব চেযে অনেক অগ্রসর । শৰ্থাৎপূর্ব বা ববীন্দ্ৰপূৰ্ব যুগের উপন্যাস বর্তমানের অতি তরুণ পাঠক-পাঠিকাব কাছে জোলো এবং ফিকে ঠেকবে। বঙ্কিমচন্দ্রেব উপন্যাস অবিশ্যি এ পর্যায়ে পড়ে না-তিনি ছিলেন যুগপ্রবর্তক আচাৰ্য, তার অসামান্য প্রতিভা সাধারণ লেখকদিগের দুরধিগম্য, তার দুঃসাহসিকতা এখনও পর্যন্ত বাংলার লেখকদেৰ নিকট আদর্শস্থানীয় হয়ে আছে এবং চিরকাল থাকবে । Rtr\