পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কবি বা শিল্পী-মানসের স্বতঃস্ফূর্ত আনন্দ থেকে রসসৃষ্টি সম্ভব হয়। এ বিষয়ে স্ত্রীব স্বাধীনতা অনস্বীকাৰ্য । অন্তর্নিহিত প্রেরণা ভিন্ন শিল্পী কখনও অগ্রসব হবেন না । বাইবের লোকের তাগিদে বা বিকদ্ধে সনালোচনার ভয়ে বা সস্তা হাততালি পাওযার লোভে অতি আধুনিক হওয়াব যে চেষ্টা, লেখকেব পক্ষে তা মৃত্যুর পথ। এই কথাটি আমাদের সকলেরই স্মবাণ বাখা উচিত। এটি একটি বডি সত্য সাহিত্য ক্ষেত্রে এবং এই সত্যটি না মানার দরুন বহু তরুণ আশাবাদী লেখকোব ও লেখিকাব ক্ষমতাকে বিপথে গিষে নষ্ট হতে দেখেছি । সাহিত্যের চক্ষে ও অন্যান্য মত শক্তিকে ও অভিজ্ঞ দান্সে অর্জন কবিতে হয সাধনাব দ্বারা। তখন অন্তদৃষ্টি আপনিই খুলে যায, নতুন দৃষ্টিভঙ্গি অপরেব বই পডে লাভ কবতে হয না-আপনি এসে আশ্ৰয কবে শিল্পীকে । এ যেন যোগীর তৃতীয নয়ন খুলবার মত বাপাব । কিন্তু যতক্ষণ সেই দুর্লভ ঘটনা ঘটবে ততক্ষণ শিল্পী যেন কারো প্ৰশংসাব লোভে বা ধমকেব। ভয়ে স্বধৰ্ম ত্যাগ না। করেন। এতে যদি তাব অদৃষ্ট হাততালি না জোটে, নাই জুটবে। ন্যায়মাত্মা বলহীনেন লভ্যঃ —আত্মসংজ্ঞাহীন ভীৰুচিত্ত শিল্পী নিজের সর্বনাশ নিজেই তেকে vāÎ(G= | লেখক ও কবির মধ্যে একটি সহজাত নিঃসঙ্গতা আছে । দৈনন্দিন জীবনোত্তীর্ণ বৃহৎ আনন্দলোকোব আবাহন তাদেব লক্ষ্য, যােব জন্যে লেখকের প্ৰযোজন আপনাব ভাবজগতেব মধ্যে যত বেশিক্ষণ সম্ভব এবং যত গভীবৃন্তমৰূপে সপ্তম্ভব বাস কবা । নিবাসক্ত আনন্দোব বা দুঃখের মধ্য লিখেই সৃষ্টি । আপনাকে প্ৰতি মহুর্তে পূর্ণ করে ও প্ৰতি মুহুর্তে অতিক্রম কবে তিনি অগ্রসব হন। চারিপাশের মানবহৃদযের অন্তব্যতম স্পন্দনটিকে তিন প্ৰকাণ্ড ভাবে বা অনু ভৰে বা চেষ্টা কবেন বলেঙ্গ তো তাদেব শ্রেষ্ঠ প্রেবণার ক্ষণে যখন কথা বলেন, তখন তঁর মধ্যে বিশ্বমানবেবী কণ্ঠ বেজে ওঠে, জীবনের মূলতম বহস্তোব আবেগ ৭ধান্তভাবে সঞ্চবিত হয়। বাস্তবকে বুঝতে হলেও দূব থেকে তাকে দেখতে হয় লোকলোচনের অতি স্পষ্ট পাদপ্রদীপেব সামনে অনুক্ষণ থেকে তা সব সময় সম্ভব হত্য না । এর জন্যে চাই নির্জনতা, খ্ৰীষ্টেব্য চল্লিশ দিনের নিঃসঙ্গ অবকাশ, বুঝবার ও বোঝাবার প্রয়াসে তপস্যা। স্বষ্টির আনন্দ আসে যে বিরাট অনুভূতি থেকে-যাকে বলেছেন আনন্দ —“আনন্দাদ্ধেব খলু ইমানি সর্বানি ভূতানি জায়ন্তে’-সে আনন্দ সহজপ্রাপ্য নয়, সে আনন্দ আপন রস আহরণ করে 8 "סא