পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হয়ে গেল বারাকপুর, হয়ে গেল বনগা, হয়ে গেল চাটগান। তোমার কি মত কল্যাণী ? আমি কিছুই বুঝতে পারাচিনে এখনও, মন এদিকেও টানচে ওদিকের টানচে । যদি কোন কারণে গোয়ালিয়র যাওয়া না হয়, তবে আমার আগের ভ্রমণ তালিকা অনুসারেই কাজ করা যাবে। একটা বড় বাধা এই দাড়াবে যা বুঝচি, একখানা উপন্যাসের Contract হবার কথা হচ্চে মিত্র ও ঘোষ কোম্পানী প্ৰকাশকের সঙ্গে । তা যদি হয়, তবে যাওয়া হবে না, কারণ হৈ হৈ করে ছুটিটা কাটিয়ে দিলে নিরিবিলি লিখবার সময় পাবে না। আগের লাইনটা লিখবার পরে আমার ঘরটিার নীচে রেডিওতে নৃপেন্দ্ৰীকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায় রবীন্দ্রনাথের “মরণ’ কবিতার আবৃত্তি করলে, “সেই যেটা আমি একদিন বনগায়ের পুরনো বাসায় করেছিলুম, “অতি চুপিচুপি কেন কথা কও’- সেইটি মনে আছে ? এতক্ষণ চিঠি লেখা বন্ধ করে আবৃত্তি শুনছিলাম, বেশ করলে। দু’এক জায়গায় বেশ ভাল লাগলো • • •তবে বডড চিৎকার করতে হয় ওটাতে, ভাল দম রাখতে না পারলে ওটা ভাল করে আবৃত্তি করা যায় না । পরিশ্রমের কাজ ওটা আবৃত্তি করা । নৃপেনের যেন দু’জায়গায় দম রইল নাম তাই আবার খুব নীচু সুরে আরম্ভ করলে। আমি ছুটির সময় ওটা আবৃত্তি করে Q~~< qସ୍ଵାମୀ । “চাদের পাহাড়’ ভাল লেগেচে মায়ের, খুব আনন্দের কথা । বেশ, ও-ধরনের adventure আরও লিখবো • • •আমারও ইচ্ছে রয়েচে লিখবার । তুমি তো আগেই পড়েছিলে, না ? কি রকম লেগেছে লিখো। তোমাকে একটল কবিতা আবৃত্তি করতে হবে কিন্তু এবারে বনগায়ে ছুটির সময়। কেমন ? হয়, হায়, এবার পূজোর ছুটিটা মাঠে মারা গেল! তবে ঘাটশিলা আমরা কিন্তু যাবোই । যে ক’দিনের জন্যেই হোক । মুশকিল হোল বেচারী রেণু-মায়ের। হয়তো সে মিথ্যেই অপেক্ষা করে থাকবে, সেখানে যাওয়া ঘটবে না । নিজের অনিচ্ছাতেও যে কত লোকের মনে কষ্ট দিই৷ ” এতে পাপ হয় কল্যাণী ? তোমার কি মত ? আচ্ছা তোমার চিঠিতে ‘পূজোর ছুটিতে যে আপনি—” এই পর্যন্ত লিখে বলেচ, “থাক, সে বলবো না-” ও কথার মানে কি ? সত্যি, কিছু বুঝতে পারিনি। পূজোর ছুটিতে আমি কি করব বলেছিলুম ? বলবে না। কল্যাণী ? আমি বুঝি রাগ করতে জানিনে, না ? আমার ভারি কষ্ট হয়েচে ও-কথা কেন লিখেচ “আমার মত সামান্য RSbP