পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মৌচাকের স্মৃতি >>a毗哥k吓研夺q1 ৬ চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্ৰথম সুধীরবাবুর [ 'মৌচাক" সম্পাদক /মুৰীয়চজ সরকার। ] দোকানে যাই। সেখানে তখন প্রতি বিকালে একটি সাহিত্যিক অ্যাডা হোত। আমি তখন নতুন সাহিত্যিক, ‘প্রবাসী’তে কয়েকটি ছোটগল্প লিখেছি মাত্র এবং ‘‘পথের পাঁচালী’ উপন্যাসের খসড়া করঢ়ি । এদের এই বৈকালিক আডাটি আমার বড় ভাল লাগতো। কাজকর্মের অবসৰে মাঝে মাঝে ‘মৌচাক’ আপিসে এসে এই আডাতে যোগ দিতাম। ১৯২৯ সালে আমি কলকাতায় ফিরে আসি, কয়েক বৎসর বিহােব প্রবাসের } পর। ঐ বৎসরেই ‘‘পথের পাঁচালী’ প্ৰকাশিত হয়। ঐ সাল থেকে ‘মৌচাক” আপিলে আমার যাওয়া-আসা বাধা-নিয়মে সুরু হয়ে গেল । অনেক সাহিত্যিক, শিল্পী, মজলিসি ও রসিক ব্যক্তির সমাগমে “মৌচাক'- • এর আডিডা গমপম করতো। এইখানেই বন্ধুবর হেমেন্দ্ৰকুমার রায়, মণীন্দ্রলাল ৰম্ব, সুরেশচন্দ্ৰ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয় ঘটে। সুধীববাবুর আদৱ-আপ্যায়নে কত বর্ষার বৈকাল ও শীতের সন্ধ্যার চায়ের মজলিস এখানে সরস আনন্দময় হয়ে উঠেচে, কত ঠোঙা ঠোঙা ‘অবাক জলপান’ ফেরি ওয়ালার ঝুলির মধ্যে থেকে বেরিয়ে এসে বাদল দিনে অতিথিসৎকারে সহযোগিতা করেচে ; “মৌচাক'-এর ইতিহাসের সঙ্গে সে-সবেবী ইতিহাসও জড়ানো। একদিন সুধীরবাবু বললেন-বিভূতিবাবু, মৌচাকের জন্যে লিখবেন ? আমি এক পায়ে খাড়া । বললুম-নিশ্চযই। --কি লিখবেন বলুন । —কি ধরনের লিখি আপনিই বলুন। --ছেলেদের উপন্যাস দিন । কি বলেন ? এভাবে ছেলেদের জন্য লেখা উপন্যাস 'চাদের পাহাড'এর সূত্রপাত। স্বাধীৱৰাৰুৰ উৎসাহ না পেলে হয়তো ও বই লেখাই হােত না। অৰাজকালি কলকাতা থেকে দূরে বাস করি। কিন্তু "মৌচাক"-এর ৰৈকালিকা আজকায় অল্পকর্ষণ এমন মোহ বিস্তার করেচে। মনে, যে, কলকাতায় এলেই ওখানে VN (