পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আজি সপ্তাহ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে, চন্দ্ৰসেন তাঁর প্রিয় সাক্ষা ঘোড়াটিতে চড়ে এক পথ চলেছেন। তার সঙ্গে থাকবার মধ্যে বা দিকে খাপে-ঝোলানো পিতৃদম্ভ তলোয়ারখানি। আর আছে চােখে অসীম তৃষ্ণা, বুকে অদম্য সাহস ও নিৰ্ভীকতা। কাকী রাজ্যের সীমা ছাড়িয়েও দু’দিনের পথ চলে এসেচেন, কতো গ্রাম, মাঠ, বন, নদী পাৱ হয়ে চলেচেন-সবই অচেনা, এ তার নিজের রাজ্য। কাঞ্চী নয়, এখানে তিনি একজন অজানা পথিক মাত্ৰ । তখনও সূৰ্য অন্ত যায়নি। এক নদীর ধারে তার ঘোড়া এসে পৌছলো। ঊাকে নিয়ে। প্ৰকাণ্ড নদী-বিকেলের রাঙা আলোয় ওপারের বনরেখা অপূর্ব দেখাচ্ছে। অতবড়ো নদী কি করে পার হবেন, রাজকুমার চিন্তায় পড়লেন। কোনোদিকে মানুষের বাসের চিহ্ন নেই-সন্ধ্যার ছায়া ক্ৰমে ধূসর হয়ে এলো । যিজন নদী-তীরের ছন্নছাড়া চেহারাটা সুমুখ-আঁধার রাতে গাঢ় ছায়ায় যেন আরও বেশি ছন্নছাড়া হয়ে ফুটে উঠলো। ওপারে দূরে একটা পাহাড়-নীল চুড়া একটু একটু চোখে পড়ে। রাজকুমার চেয়ে থাকতে থাকতে পাহাড়ের ওপর থেকে আগুন-রাঙা একটা হালকা হঠাৎ আকাশেৱ পানে লক-লক করে জলে উঠেই দ্বীপ করে নিবে গেলো }, ৰাজপুত্ৰ অবাক হয়ে সেদিকে চেয়েই আছেন, এমন সময় একটা প্ৰকাণ্ড ৰাজপাণি সন্ধ্যার আকাশে তানা মেলে নদীর উজান দিক থেকে উড়ে এসে তার মাথার ওপর তিন-চারবার চক্রাকারে ঘুরে আবার কোনদিকে অদৃশ্য হলো । রাজকুমারের নিতীক মনও একটুখানি কেঁপে উঠলো। তিনি জানতেন, উদ্ভিদৰ বংশে কারুর মৃত্যুর পূর্বে তার মাথার ওপর গুপ্ৰজাতীয় পাখি তিনবার ওvে-কেউ কেউ বলেচেন, বিশেষ করে শাকুন-শাস্তুবিৎ কোনো গণৎকার ল-বার বলেছিলেন যে, এই গৃধ্ৰু ভঁাদের পূর্বপুরুষদের হাতে অন্যায়ভাবে অবিচারে নিহত কোন শত্রুর সাত্মা-বহুকাল ধরে সে পৈশাচিক উল্লাসের সঙ্গে জানিয়ে দিয়ে যায় নিজ-শত্রুর বংশধরের মৃত্যুর পূর্বাভাস। কোথা থেকে আসে, কোথায় আৰাৱ উড়ে চলে যায়-কেউ বলতে পারে না ? DBLDD BDDB BB DB DSDD tB BDDSSgD D KDL কোথাও নেই, যার তলায় আশ্ৰয় নিতে পারেন। অবশেষে একটা মাটির টিপির পেছনে ঘোড়া থেকে নেমে রাজপুত্র নিজের আসন বিছোলেন-সেখানটাতে যাওয়া বেশি লাগে না-শুকনো লতা-কাটি কুড়িয়ে আগুন জালানোর ব্যবস্থা । করে সে রাত্ৰেৰ মতো তিনি সেইখানেই রইলেন । উপায় কি ? \¢ፅ8ህ”