পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

शृंबढ़ পৰ্বতে পাদদেশে গিয়ে তারা যে দেখলে, তাতে তারা অগ্ৰত্যাশিত বিস্ময়ে হতভম্ব হয়ে গেলো। বড়ো জামগাছটার उगनि श5ी भूडमछ : ७क তাদের গ্রামের সেই তরুণ অতিথির, আর একটা কাপালিকের-দেখে মনে হয়, দু’জনেই পরস্পরকে অস্ত্ৰাঘাত করেচে। দলে দলে শ্ৰী-পুরুষ সবাই ছুটে এলো দেখতে, যে নিজের প্রাণ দিয়ে তাদের চিরকালের জন্যে বিপদ-মুক্ত করে গেলো --রাজার ভয়ে গোপনে চোখের জলে ভেসে তার শেষ সৎকার সম্পন্ন করলে । রাজকুমারের আসল পরিচয় সে-দেশের লোক তখনো জানেনি। চ্যালিরাম দিল্পীর এক পার্কে চ্যালারামেব সঙ্গে আমার আলাপ হয়। ভীষণ জোয়ান, পুরো ছ-ফুট ছ-ইঞ্জি লম্বা, হাতের কজি এই মোটা, এই গোফ দাড়ি, এই বুকের ছাতি। কথায়-কথায় জানতে দেৱী হোল না যে চ্যালারাম। একজন অসাধারণ লোক। তার মুখের ভাব এমনি যে, দেখলে মনে হয়, জীবনের অনেকখানি এ দেখেচে । এমন ব্যাপার ঘটেছে। এর জীবনে, যা সচরাচর মানুষের জীবনে ঘটতে দেখা যায় না । // তার ওপর মুশকিল হয়েচে আমরা বাঙালী, আমাদের জীবনে অভিজ্ঞতার ক্ষেত্র এত সঙ্কীর্ণ। তবুও অমৃতসরে, দিল্লীতে, করাচীতে, ডেরাগাজিাখাতে যারা জন্মায়া-তারা অনেক কিছু দেখে, অনেক কিছু কবে। আমরা যারা খুব কিছু করি, বাপের পয়সায় খই ছড়াতে ছড়াতে বিলেতে গিয়ে উঠি। আমাদের চেয়ে মাদ্রাজী, তেলেগু, নোয়াখালি ও চাটগায়ের মুসলমানেরা ভালো-তারা তবুও পাঁচটা দেশ দেখে, জাহাজের খালাসী-টালাসী হয়, যা হােক তবুও কিছু। চ্যালারাম আমার কৌতুহল আকৃষ্ট করবে বেশি কথা নয়, যখন সে প্রথমেই ৰূললে সে ফ্রান্সে গিয়েছিল যুদ্ধের সময়, যুদ্ধ শেষ হবার পরে সে আবার একটা কিসে ভর্তি হয়ে মেসোপটেমিয়ায় যায়। মরুভূমিতে আরবদের হাতে পড়েছিল, টাইগ্রিসে নৌকোর বাচ খেলে এসেচে। বেবিলনের ধ্বংসস্তুপের মধ্যে বসে Y98 ኃ