পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্বশুরের ছেলেপুলে না থাকায়। আমাকে পাঠিয়েছিলেন পৌষ-কিস্তির সময় BYDB KDD DDB DBDD D BB BDDDLS কিন্তু তা হলেও পরনে আমার গেরুয়া কাপড, হাতে মাদুলি ও ওষুধভরা ক্যাম্বিসেব ব্যাগ ইত্যাদি সবই ছিলো, যদি পথে-ঘাটে কিছু বিক্রি হয়ে যায়, কমিশনটা তো পাবো । কখনও ও অঞ্চলে যাইনি। মেমরি স্টেশনে নেমে বেলা দুটোর সময়ে হাটচি তো হেঁটেই চলেছি, পথ আর ফুরোয় না । এক জায়গায় একটা ছোটো বাজার পড়লো, সেখানে কিছু খেয়ে নিয়ে আবার হঁটিতে সুরু করলাম। গ্রামে গ্রামে ওষুধ বিক্রি করে বেশ রোজগারও করা গেলো, দেৱীও হলো বিশেষ করে সেইজন্যে। আর একটা বাজার পড়লো। পথে সেখানে দোকানদারদের কাছে শুনলুম, আমার গন্তব্যস্থানে পৌছতে অন্ততঃ রাত ন’টা বাজবে । কিন্তু সকলেই বললে, “সন্ধ্যের পর গিয়ে আগে আর পথ হাটবেন না, ঠাকুরমশায়। এই সব দেশে ফাসুডে ডাকাতের বডো ভয়, বিদেশী দেখলে মেরে ধরে যথাসর্বস্ব কেডে নেয়। প্রায়ই বনের ধারে বডো-বড়ো মাঠের মধ্যে ঘাপটি মেরে বসে থাকে ওরা । সাবধান, একটা দীঘিৰ পড়বে মাঠের মধ্যে ক্রোশ-তিনেক দূরে, জায়গাটা ভালো নয়,--” বড়ো-বড়ো মাঠের ওপর দিয়ে রাস্তা । সন্ধ্যে প্ৰায় হয় হয়, এমন সময় দূরে একটা তালগাছ-ঘেরা দীঘি দেখা গেলো বটে। আমার বুক চিপটিপ করে উঠলো। দীঘির ও-পাশে সঞ্জয়পুর বলে একটা গ্রাম, সেখানেই রাত্রের জন্য আশ্রয় নেওয়ার কথা বাজারে বলে দিয়েছিলো । কিন্তু সন্ধ্যে তো হয়ে গেলো। তালদীঘির এদিকেই।-অন্ধকার হবার দেৱী নেই, কোথায় বা সঞ্জয়পুর, cकांथांश दा कि ? মনে ভাৱী ভয় হলো। কি করি এখন ? সঙ্গে মাদুলি ও ওষুধ বিক্রির দরুন অনেক টাকা। পরীক্ষণেই ভাবলুম, কিছু না পারি, দৌডোতে তো পারবো । না হয় ব্যাগটাই যাবে-প্ৰাণ তো বঁচবে। ভয়ে ভয়ে দীঘির কাছাকাছি তো এলুম-খুব বড়ো সেকেলে দীঘি, খুব উচু পাড়, পাড়ের দু’ধারে বডো-বড়ো তালগাছের সারি, তার ধার দিয়েই রাস্তা। দীঘির পাড়ে কিন্তু লোকজনের সম্পর্ক নেই। যে ভয় করেছিলুম সে সবই ভুয়ো। মানুষ যে কেন এ-রকম মিথ্যে ভয় দেখায়! প্ৰকাণ্ড দীঘিটার পাড় ঘুরে যেমনি তালবনের সারি ও দীঘির উচু পাড়কে V9R