পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমি বললুম, “হ্যা, একটা কথা বলি ...আমাদের এক মন্ত্রশিষ্য, বাড়ী কুসুমপুর, থানা রায়না, নাম পাঁচকডি-ইযে, হৰিদাস মজুমদাব, তার একটি মেয়েব নাম বামা-এ দিকেই কোথায্য বিয়ে হযেচে । তা<া ও জাতে তোমাদেবই বারুই কিনা-তাই श्ड bि•५८ळ७ bि•ऊ श्री 3 c জ্যাঠা দুর্লভরাম-ইযে পাঁচকডি-আমায় বলে দিযেছিলো মেয়েটিব শ্বশুববাভী খোজ কবে একবার সেখানে যেতে তা যখন এলুমিই এ দেশে আমার কথা শুনে বৃদ্ধ যেন কেমন হয়ে গেলো, আমার দিকে অবাক হয়ে চেয়ে বললে, “কুসুমপুবেবী হরিদাস মজুমদাবা ? বামা ? “আপনি তাদের চিনলেন কি করে ?” বামাব কথা স্মবণ করে গলা না-কঁাপিয়ে দৃঢ়ম্বলে বললুম, “আমি যে তাদেৰ গুরুবংশ-আমার বাবার ওবা মন্ত্রীশিষ্য কিনা ৷” বৃদ্ধ তাডাতাডি বললে, ‘বসুন, আমি আসচি * * আমি একটা কুঠুবির মধ্যে বসে বইলুম, সন্দেহ ও ভয় তখনও যায়নি। আর এরা যে গুরুদেবকেও বেহাই দেবে তা কে বলেছে ? কিছুক্ষণ পাবে বৃদ্ধ ফিবে এলো , পেছনে পেছনে সেই বন্ধুটি, আব্ব এক জন ষণ্ডামাক গোছের যুবক এবং একজন প্রোঢ স্ত্রা লোক-সম্ভব ৩: বৃদ্ধের স্ত্রী । বৃদ্ধ বললে, “এই যে বামা, ঠাকুব মশায । আমাবষ্ট মেজো ছেলের সঙ্গে • • এই আমার মেজো ছেলে শম্ভু গড় করো সব, গড করে • মেজো বৌমা, দেখো তো, চিনতে পারে একে ?” চমৎকাব অভিনেত্রী বটে বামা । অদ্ভূত অভিনয় করে গেলো। সে । ঘোমটা খুলে হাসিমুখে সে আমার পাযেব ধুলো নিয়ে প্ৰণাম করলে গলায় আঁচল দিয়ে। জীবনদাত্রী, দয়াময়ী বামা । আমার চোখে প্ৰায় জল এসে পডলে । তবপর সে রাত্রি তো কেটে গেলো। খাবার জল দেবার ছুতো করে এসে বামা আমায় আশ্বাস দিয়ে গেলো। বললে, “বিপদ কেটে গেছে ; আমার চোখে না পডলে সর্বনাশ হতো, ভি৮ে তে ব্ৰহ্মহত্যে হতো। অনেক হয়েছে-এই কুঠুরিতে, এই বিছানায, এই মেঝেতে অনেক লাশ পোতা ? আমাব মনের অবস্থা বলবার নয় । বললুম, “পুলিশ কি গায়ের লোক কিছু টেব পায় না, কিছু বলে না ?” —“কে কি বলবে। এ ফালুডে ডাকাতের গা । সবাই এ-রকম । আগে \9\99