পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিন্তু সে বুডো মানুষ পাঞ্জাবী মুসলমানের সঙ্গে দৌডের পাল্লায় তাৰ শক্ষে পেরে ওঠা অসম্ভব। কলের পুতুলের মত গঙ্গাধর গুদামের মধ্যে ঢুকল। আশ্চৰ্য গুদাম’ ওদিকের দেওয়ালটা যে একেবাবে ভাঙা । গুদামের সর্বত্র দেখ, ঘাড়া অস্পষ্ট অন্ধকারে। এক জায়গায় দুটো খালি পিপে ছাড়া কোথাও কিছু নেই। মাকডসার জাল সর্বত্র অন্ধকারে দেখা যায় না বটে কিন্তু নাকে মুখে লাগে। একটা কি বকম ভ্যাপসা গন্ধ শুদামেব মাধো, মেজেটা সঁ্যাৎসেঁতে, কতকাল এর মধ্যে যেন মানুষ ঢোকেনি । এদিকে আবার খাঁ সাহেব কোথায় গেল ? লোকটা থাকে থাকে যায় কোথায় ? অল্পক্ষিণ মিনিট দুই হবে কেউ কোথায় নেই, শুধু গঙ্গাধর একলা ••• আবার সেই ভয়টা হােল। কেমন এক ধরনের ভয় - যেন বুকোব রক্ত হিম হয়ে যাচ্চে। এই বা কি রকম ভয় ? আব্ব গুদামঘরটার মধ্যে কনকনে ঠাণ্ডা D DuBBB LBDD D0DDB DDuuB BLD DS মিনিট দুই পরেই খাঁ সাহেব-এই তো আধ অন্ধকারেব) মধ্যে সামুনেই | ধ্ৰুং।। আবার একটা অদ্ভুত কথা বললে খ্যা সাহেব। বললে—তুমি কালা স্বাক্ষ এতক্ষণ কথা বলচি, শুনতে পাচ্চ না ? কথাব উত্তর দিচ্চ না কেন ? কাকেন যে জায়গায আছে বললাম--তা দেখতে পেযেচ ? শাবলের চাড দিয়ে ভুলতে বললাম-পিপে দুটো। ই করে সঙের মত দাডিয়ে আছ কেন ? বা রে এত কথা কখন বলেচে লোকটা ? পাগল নাকি ? গঙ্গাধর কেমন অ্যাবাচ্যাক। খেয়ে গিয়েচে, মূঢ়োর মত দৃষ্টিতে চেযে বললে-কখন তুমি দেখালে কোকেনের জায়গা-কই কোথায শাবল ? কথা বলতে বলতে গঙ্গাধর সম্মুখস্থ থা সাহেবের মুখের দিকে চাইলে। সঙ্গে সঙ্গে তার মনে হোল তার বিভ্ৰান্ত, বিমূঢ় আতঙ্কাকুল দৃষ্টির সামনে খাঁ সাহেবের মুখ, গলা, বুক, হাত-পা, সারা দেহটা যেন চুব চুর হযে গুড়িয়ে গুডিযে পডেচে-সব যেন ভেঙে ভেঙে বাতাসে উডে উড়ে যাচ্চে খাঁ সাহেব প্ৰাণপণে দাতমুখ খামুটি করে বিষম মনের জোরে তার দেহের চুর্ণায়মান অণুগুলো যথাস্থানে ধরে রাখবার জন্যে চেষ্টা কৱচে ! কিন্তু পেরে উঠচে না তার চোখের সে বিজিত, হতাশ দৃষ্টি গঙ্গাধরের হৃদয় স্পর্শ করলে। দেখতে দেখতে অত বড় দীর্ঘাকৃতি দেহের Vėly