পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আর কিছুই অবশিষ্ট রইল না • সব ভেঙে গেল, উড়ে গেল-এক-দুই তিন ···ö可· আর য় খ্যা সাহেব ? চারি পাশের অন্ধকারের মধ্যে সে মিলিয়ে 'চে 'এন্টা ঠাণ্ড কনকনে বাতাসের ঝাপটা এল কোথা থেকে, সঙ্গে স, সাধার আর্তরবে। চিৎকাব করে গুদামঘরের স্যাতসেঁতে মেজের ওপর মূৰ্ছিত হবে পড়ে গেল। একটা দিশী ভড কাছে কোথায় বাধা ছিল, তার মাঝিরা এসে গঙ্গাধরকে অচেতন অবস্থায় তাদের ভড়ে নিয়ে যায়। তারাই তাকে দোকানে পৌঁছে দেয়। গঙ্গাধরের টাকা ঠিক ছিল, কানাকড়িও খোয়া যায়নি। তবে শরীর শুধরে উঠভে সময় নিয়েছিল, অনেকদিন পৰ্যন্ত অন্ধকারে সে এক কিছুতেই থাকতে পারত না । মাস দুই পরে মেটেবুরুজের খোদাদাদ খাঁর কাছে টাকা শোধ দিতে গিয়ে গঙ্গাধব টাকা নিয়ে যাবার দিন কি ঘটেছিল সেটা বললে । খোদাদাদ গল্প শুনে গম্ভীর হয়ে গেল । খানিকক্ষণ চুপ করে থেকে বললে-সহজী, ও হোলো আমীর খা । চােরাই কোকেনে র খুব বড় ব্যবসাদার ছিল। আজ বছর পনের আগেকার কথা, রমজান মাসে বেশ কিছু মাল হতে পায় ৷ তক্তাঘাটের কাছে একখানা জাহাজ ভিড়েছিল, সেখান থেকে রাতারাতি সরিযে ফেলে, জাহাজের লোকের সঙ্গে সাড় ছিল। কোথায় সে মাল রাখতে কেউ জানে না । সেই মাসেখ মাঝামাঝি সে হঠাৎ খুন হয়। কেন বা কে খুন করলে জানা যায়নি, কেউ ধরাও পড়েনি। তবে দলের লোকেই তাকে খুন করেছিল, এটা বোঝা কঠিন নয়। এই পৰ্যন্ত আমীর খ্যার ঘটনা আমি জানি। আমার মনে হয়, আমীর খাঁ সেই থেকে খুখে বেড়াচ্ছে তার মাল বিক্রি করুবার জন্যে, ওর লুকানো কোকেনের বাক্স হয়েছে দোজখের বোঝা । তা বাবু, সে গুদামঘরটা কোথায় তুমি দেখাতে পারবে ? গঙ্গাধর অন্ধকারে কোথা দিয়ে কোথা দিয়ে সেখানে গিয়েছিল তা তার মনে নেই, মনে থাকলেও সে যেত না । পথে আসতে আসতে গঙ্গাধরের মনে পড়ল, পুবানো ভাঙা গুদামঘরটার অস্পষ্ট অন্ধকাবেব মধ্যে আমীর থায়ের মুখেব সেই হতাশ ও অমানুষিক চেষ্টা করেও হেরে যাবার দৃষ্টিটা । হতভাগ্য কি এতদিনেও বোঝেনি সে মারা গিয়েছে ? কে উত্তর দেবে ? ভগবান তার আত্মাকে শান্তি দিন! O O O