পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনঙ্গ-বীে হাবুকে সকালে উঠেই বলেচে-একটা মোচা নিয়ে আয় তো তোর সয়াদের বাগান থেকে । স্ত্রীকে মোচা কুটতে দেখে গঙ্গাচরণ বললে-আজ যে অতিধি সৎকারের খুব বহর দেখচি --ভারি তো। একটু মোচার ঘণ্টা র ধবো, আব্ব একটু স্বাক্তানি--বেশ বেশ । অতিথিদের দোহাই দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে আমাদেরও হয়ে যাবে। -হঁ্যা গা, পণ্ডিত মশাই বড় গরীব, না ? দেখে বড় কষ্ট হয় ! কি রকম কাপড় পরে এয়েচে, পায়ে জুতো নেই। --তা অবস্থা ভালো হলে কি সাত টাকা মাইনেতে পড়ে থাকে পাঠশালায় ? আজ ওকে একটু ভালো করে খাওয়াও। -একটু দুধ যোগাড় করে দেবে ? - দেখি যদি নিবারণ ঘোষেবা বাড়ীতে মেলে। ওটা কঁচকলার মোচা নয়। তো, তাহলে কিন্তু এত তেতো হবে যে মুখে দেওয়া যাবে না তরকাবি । --না গো, এ কঁাটালি কলার মোচা। আমাকে তুমি আমার কাজ শেখাতে GF || Korfs দুপুর বেলা দুৰ্গা পণ্ডিত খেতে এসে সপ্রশংসা বিস্ময়ের দৃষ্টিতে পাতের দিকে চেয়ে বললে-এ যে রীতিমত ভোজের আয়োজন করেচেন দেখচি ? আহা, বৌমা সাক্ষাৎ লক্ষ্মী। এত সব রোধেচেন বসে বসে ? ওমা, কোথায় গেলে ८शं गं ? অনঙ্গ-বেী ঘরে ঢুকে সকুষ্ঠিত সলজুক্তভাবে মুখ নিচু করে রইল । দুৰ্গা পণ্ডিত ভালো কবে মোচার ঘণ্ট দিয়ে অনেকগুলো ভাত মেখে গোগ্রাসে খেতে খেতে বললে--সত্যি, এমন তৃপ্তির সঙ্গে কত কাল খাই নি । গঙ্গাচরণের মনে হলো দুৰ্গা পণ্ডিত কিছুমাত্র বাড়িয়ে বলচে না। ওর স্বরে কপট ভদ্রতা নেই। সত্যি কথাই বলচে ও, এমন কি অনেক দিন পরে ও যেন আজি পেট ভরে দু'টি ভাত খেতে পেলে । অনঙ্গ-বেী বললে-ও হাবু, বল আর কি দেবো ? মোচার ঘণ্ট আর একটু আনি ? পরিশেষে ঘন জাল দেওয়া এক বাটি দুধ আর নতুন আখের গুড়। দুর্গ পণ্ডিত সত্যিই অভিভূত হয়ে পড়েচে, খাওয়ার সময় ওর চোখ দু'টাে যেন