পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-खत्रां न ८८ झञ्झ८ ? -যদিন থাকবে, দেবো । তবে আমার জামাই গরুর গাড়ী করে বস্থিােবাটির হাটে কিছু চাল নিয়ে যেতে চাইচে । তাই ভাবচি । -পাঠাবেন না, লুণ্ঠ হবে পথে। বুঝে কাজ করুন, কিছু চাল দেশে থাকুক, নইলে দুৰ্ভিক্ষ হবে যে ৷ কি খেয়ে বঁাচবে মানুষ ? -বুঝি সব, কিন্তু আমি এক রাখলি তো হবে না। খা বাবুরা এত বড় আড়তদার, সব ধান বেচে দিয়েচে গভর্নমেণ্টের কনট্রাকটারদের কাছে। একদানা ধান রাখে নি। এই রকম অনেকেই করেচে। খবর নিয়ে দেখুন। আমি তো চুনোপুটি দোকানদার, পঞ্চাশ-ষাট মণ মাল আমার বিদ্যে । ।। গঙ্গাচরণ সন্ধ্যারি অন্ধকারে চিন্তান্বিত মনে বাড়ীর পথে চললো । নবীন পাডুই সঙ্গেই ছিল, তাকে যেতে হবে দোমোহানী, নতুন গায়ের পাশেই। বললে--পণ্ডিত মশাই ছেলেন তাই আজ বাচকাচের মুখে দু’টো দান পড়বে । মোদের কথা ওসব বড় দোকানদার কি শোনে ! মোৱা হলাম টিকিরি মানুষ। কাল দু’টো মাছ পেটিয়ে দেবো আনে। গঙ্গাচরণ বাড়ী নেই, পাঠশালায় গিয়েচে পড়াতে। হাবু ও পটল বাপের সঙ্গে পাঠশালায়। এক অনঙ্গ-বৌ রয়েছে বাড়ীতে। কে এসে ডাক দিলেও পণ্ডিত মশাই-বাড়ীতে আছ গা অনঙ্গ-বেী কারো সামনে বড় একটা বার হয় না। বৃদ্ধ ব্যক্তি ডাকাডাকি করচে দেখে দোরের কাছে এসে মৃদুস্বরে বললে-উনি বাড়ী নেই । পাঠশালায় গিয়েচেন -কে ? মা-লক্ষ্মী ? অনঙ্গ সলজ্জ ভাবে চুপ করে রইল। বৃদ্ধটি দাওয়ায় উঠে বসে বললে-আমায় একটু খাবার জল দিতি পারব মা-লক্ষ্মী ? অনঙ্গ তাড়াতাড়ি ঘরের মধ্যে ঢুকে এক ঘটি জল নিয়ে এসে রাখলে তারপর বাড়ীর গামছাখানা বেশ করে ধুয়ে ঘটির ওপর রেখে দিলে। একটু আখের গুড় ও এক গ্লাস জলও নিয়ে এল । বললে-দু’কোষ কঁাটাল দেবো ? -খাজা, না রস ? (tR