পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাড়ী উনি এয়োচেন, আমাদের কত ভাগ্যি। ও কথাটি বোলো না । অতিথকে আমন কথা বলতে আছে ? কাকে কি যে বলে। ! নিয়েচেন চাল, নিয়েচেন । আমাদের বাপের বয়সী মানুষ। ওঁকে অমন বোলো না —তা তো বুঝলাম, বলবো না। কিন্তু পয়সা না থাকলে চাল ধান পাবো কোথায় ? -উনি কি বলেন দ্যাখে-উনি যা বলবেন বোঝাই গিয়েচে । উনি এয়েচেন ভিক্ষে করতে, সোজা কথা । মেগে পেতে বেডানোই ওঁর স্বভাব । অনঙ্গ-বেী ধমক দিয়ে বললে—আবার ওই সব কথা ? --তা আমি কি করব এখন ? বলে তাই করি । -শুধু হাতে উনি না ফেরেন। বাপের বয়সী বামুন। না হয় আমার হাতের পেটি বাধা দিয়ে দুটো টাকা এনে ওঁকে চাল কিনে দাও । দিতেই হবে, না দিলে আমি মাথা খুঁডে মরবো। চাল তো আমাদেরও কিনতে হবে। রাতে রান্না হবে না । গঙ্গাচরণ বাড়ীর বাইরে যাচ্ছিল, অনঙ্গ-বেী বললে-পাকা কঁকুড় দু’খানা খেয়ে যাও । বেবিও না । গঙ্গাচরণ বিরক্তির সুবে বললে-আমি বিনি মিষ্টিতে ফুটি কঁকুড খেতে পারি নে। ওসব বাঙালে খাওয়া তোমরা খাও । অনঙ্গ-বেী সকৌতুকে হাসি হাসি চোখ নাচিয়ে বললে—বাঙাল বাঙাল BDBB D DDBDS DBDBD BB DBS D BEDDDSDDD D BBBBB BBDBD মুকসুদাবাদ জেলা থেকে -সে আবার কি গো ? ও কথা তুমি আবার কোথায় শিখলে ? —শিকতে হয় গো, শিখতে হয়। সেই যে ভাতছালায় উত্তরে ঘরামি জন ঘর ছাইতে আসতো মনে পড়ে ? ওবা বলতে না, মা আমাদের বাড়ী মুকসুদাবাদ জেলা-হি-হি-হি- একটু পরে বাইরের দাওয়ায় বসে দীনু ও গঙ্গাচরণ দু’জনেই পাকা ফুটি কঁকুড় খাচ্ছিল, খেজুর গুডের সঙ্গে। কোথায় অনঙ্গ-বীে একটু খেজুর গুড় লুকিয়ে সঞ্চয় করে রেখেছিল সময় অসময়ের জন্যে। অনঙ্গ-বেী ওই রকম রেখে থাকে । গঙ্গাচরণ জানে অনেক সময় জিনিসপত্র ভেলকিবাজির মত বার করে অনঙ্গ । t