পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পথে তাকে হীরু কপালী গোপনে বললে-বিশ্বাস মশায় ধান সব লুকিয়ে সরিয়ে ফেলে দিয়েচে পণ্ডিত মশাই। 'পাছে মোদের দিতি হয় সেই ভয়েদু’পৌটি ধান ধরে, হাতীর মত গোলা । ধান নেই কি রকম? --তোমরা তো ধান নিলে, কি রকম দেখলে গোলায় ? গোলা সাবাড়ি পণ্ডিত মশাই, নিজের চোখে দেখে এলাম। এক দানা নেই। ওর মধ্যে। " -उांई 6डों ! -এবার এই ধান কাটা ফুরুলি না খেয়ে মরতি হবে -কেন। ভাদ্র মাসের দশ বারো তারিখের মধ্যে আউশ ধান পেকে উঠচে । ভাবনা চলে যাবে তখন । --তা কি হয় পণ্ডিত মশাই ? নতুন ধানের চাল খেলি সদ্য কলেরা। দেখবেন তাই লোকে খাবে পেটের জালায় আর পটু পটু মরবে। ও চাল কি এখন খাওয়া যাবে, না পেটে সাহিত্যু হবে ? ও খেতি পারা যাবে কাতিক অভ্ৰাণ भांजद्ध लेिकेि । --তবে উপায় কি হবে লোকের ? -এবার যে রকমডা দেখচি, না খেয়ে লোকে মরবো। কথাটা গঙ্গাচরণের বিশ্বাস হলো না । না খেয়ে আবার লোক মরে ?-- কখনো দেখা যায়নি। কেউ না খেয়ে মরেচে। জুটে যায়ই কোনো-না-কোনো উপায়ে। যে দেশে এত খাবার জিনিস, সে দেশে লোকে না খেয়ে মারবে ? অনঙ্গ-বেী বললে-ও ক’টা ধান আমি নিজেই ভেনে কুটে নেবো ঢেকিতে । ওর জন্যে আর কারো খোসামোদ করতে হবে না । কিন্তু ওতে क'नि bल6त ? -उांई 6डों अभि७ डांत्रि । - আমি একটা কথা ভাবচি। অন্য লোকের চাল কেন আমি ভেনে দিই না ? বানি পাবো দু’কাঠা করে চাল মণে । -ছিঃ ছিঃ, দু’কাঁঠা চাল বানি দেবে তার জন্যে তুমি দশ আড়ি ধান ভানতে যাবে ? অতি কষ্ট করে দরকার নেই। -কষ্ট আর কি ? দু’কাঠা চালের দাম কত আজকাল ! আমি তা ছাড়বে। না। দু'কাঠা চাল বুঝি ফেলনা ! -লোকে কি বলবে বল তো ?