পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আহা, বেচারী ! যদি ধান এলে দিতে গিয়ে কোনদিন ওর আঙুলে টোকি পড়ে যায় ! গঙ্গাচরণ পাঠশালায় বেরিয়ে গেলে হরি কােপালীর ছোট বৌ এসে ছেচতলায় দাঁড়িয়ে চুপি চুপি বললে-উনি চলে গিয়েচোন ? -ईंJा, हि।ि शांई-চলে বামুন-বো, ওরা সব বসে আছে তোমার জন্যি। --কত ধান আজকে ? -পাচ আডি তিন কাঠা । চিড়ে আছে তিন কাঠা । -আমাকে ধান এলে দেওয়া শিখিয়ে দিবি দিদি ? -সে তোমার কাজ নয়। অমন চাপা ফুলের কলির মত আঙুল টেকি পড়ে ছেচে যাবে। তার দায়িক আমি হবো বুঝি বামুন-বো ? --দায়িক হতে হবে না। সে জন্যে । আহা, ভঙ্গি দেখো না ? মবণের ভগ্নদশা ! কােপালী-বেী অনঙ্গ-বৌয়ের দিকে চোখ মিটকি মাবিছিল, তার প্রতি লক্ষ্য করেই অনঙ্গ-বৌয়ের শেষের উক্তিটুকু। হবি কােপালীর ছোট বৌয়ের বয়েস অনঙ্গ অপেক্ষ বছর দুই বেশি হবে, ছেলেপুলে হয় নি, রংও ফর্সা, মুখ-চোখের চটক ও দেহের গড়ন এবং বাধুনি ভালোই। রাস্তার লোকে চেয়ে দেখে । অনঙ্গ হেসে বললে-আড়াচোখ দেখাগে অন্য জায়গায়-বহু-লোকের মুগু ঘুরিয়ে দিতে পারবি। কােপালী-বেী হেসে গড়িয়ে পডে আর কি। বললে-মুণ্ড ঘুরিয়ে বেড়ানো বুঝি আমার কাজ ? --কি জানি দিদি ? --আর তুমি বামুন-বীে-তুমি যে অনেক মুনিব মন টলিয়ে দিতে পারো মন করলি ? আমরা তো তোমার পায়ের নখের যুগ্যি নই। সামনে খোশামোদ করে বলচি নে বামুন-বেী। গ্রামের সবাই বলে - অনঙ্গ-বীে। সলজ্জ হাসি মুখে বললে-যাঃ- হরি কােপালীর দু’খানা মেটে ঘর, এক দিকে পুই মাচা, এক দিকে বেড়ার মধ্যে লালডাটা, ঝিঙে ও বেগুনের চাষ। পুই মাচার পাশে ছোট্ট চালার নিচে টেকি পাতা। সেখানে জড়ো হয়েচে হরি কােপালীর বড়-বেী, আরও পড়ার R