পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শাক তুলে বাড়ী ফিরে দেখে প্ৰমাদ গণলো। আজই দিন বুঝে! শুধু এই শাক ভরসা, দু’টো ক'টা মোটা নাগরা চাল কোথা থেকে উনি ওবেলা এনেছিলেন, তাতে একজনেরও পেট ভরবে না । দুৰ্গা পণ্ডিত বললেন-এসে মা । তোমার বাড়ী এলাম । --বনুন, বসুন। } --তোমাদের সব ভালো ? - এক রকম। ওই । আধঘণ্টা পরে দুর্গা পণ্ডিত হাত-পা ধুয়ে সুস্থ ঠাণ্ডা হয়ে অনঙ্গ-বৌয়ের কাছে তার দুঃখের বিবরণ দিতে বসলেন। যেন অনঙ্গ-বেী তার বহুদিনের আপনার জন । অনঙ্গ বললে-তিন দিন খান নি ? বলেন কি ? -আমি তো নয়, বাড়ী সুদ্ধ কেউ নয়। মা । বলি না খাওয়ার কষ্ট আর সাহিত্যু হয় না, আমার মায়ের কাছে। যাই । -ङा 46म उठाब्लड्ने क८द्रCछन । অনঙ্গ আকাশ-পাতাল ভাবতে লাগলো, আপাতোক বুড়োকে কি দিয়ে একটু জল দেওয়া যায়। হঠাৎ তার মনে পড়ে গেল পুরোনো দুটো চা পড়ে আছে হাড়ির মধ্যে পুটুলিতে। বললে -একটু চা করে দেবো ? দুৰ্গা পণ্ডিত খুশির সঙ্গে বললে—আহা, তা হোলে তো খুবই ভালো হলো । কতদিন চা পেটে পড়ে নি । অনঙ্গ-বেী চিন্তিত মুখে বললে—কিন্তু নুন-চ খেতে হবে । দুধ নেই । —তাই দাও মা। লবণ-চা আমি বডড ভালবাসি। শুধু এক বাটি নুন-চা । তা ছাড়া অনঙ্গ-বৌয়ের কিছু দেবার উপায়ও ছিল কি ? রাত্রে গঙ্গাচরণ এসে দুৰ্গা পণ্ডিতকে দেখে মনে মনে ভারি চটে গেল । স্ত্রীকে বললে-জুটেচে। ওটা আবার এসে ? 尊 অনঙ্গ বেী রাগের সুরে বললো-জুটেচে । তা কি হবে এখন ? -চলে যেতে বলতে পারলে না ? কি খেতে দেবে শুনি ? --তুমি আমি দেবার মালিক ? যিনি দেবার তিনিই দেবেন। bም¢ fནི, --