পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাপালী-বোঁ হেসে বললে-রাখো, রাখে বামুন-দিদি, ও তোমার কাজ নয়। tye asia বলে সে এসে দু’হাত দিয়ে টানতেই আলুট গর্ত থেকে বেরিয়ে এল। অনঙ্গ-বেী অপ্ৰতিভের হাসি হেসে বললে-আমি পারলাম না-বাবাঃ-কোথা থেকে পারবে বামুন-দিদি-নরম রাঙা হাতের কাজ নয়। ওসব । -তুই যা-তোকে আর ব্যাখ্যান কত্তে হবে না। মুখপুড়ীএমন সময়ে এক কাণ্ড ঘটলো। সেই ঘন ঝোপের দূর প্রান্তে একজন দাড়িওয়ালা জোয়ান মত চেহারার লোকের আকস্মিক আবির্ভাব হলো । লোকটা সম্ভবতঃ মেঠো পথ দিয়ে যেতে যেতে নদীতীরের ঝোপেব মধ্যে নারীকণ্ঠের হাসি ও কথাবার্তা শুনতে পেয়ে এদিকে এসেচে। কিন্তু তার ধরনধারণ ও চলনের ভঙ্গি, চোখের দৃষ্টি দেখে সর্বপ্রথমে অনঙ্গ-বৌয়েব মনে সন্দেহ জাগল। ভালো নয়। এ লোকটার মতলব। ঝোপের মধ্যে তিনটি সম্পূর্ণ অপরিচিত মেয়েকে দেখেও ও কেন এদিকেই এগিয়ে আসচে ? যে ভদ্র হবে, সে এমন অদ্ভুত আচরণ কেন কববে ? মতি এগিয়ে এসে বললে-তুমি কে গা ? এদিকি মেয়েছেলে বয়েচেএদিকি কেন আসচো ? কােপালী-বৌও জনান্তিকে বললে-ওম, এ ক্যামনধারা নোক গা ? লোকটার নজর কিন্তু অনঙ্গ-বৌয়ের দিকে, অন্য কোনদিকে তার দৃষ্টি নেই। সে হন হন করে সোজা চলে আসচে। অনঙ্গ-বৌয়ের দিকে। অনঙ্গ-বেী ওর কাণ্ড দেখে ভয়ে জড়সড় হয়ে মতির পেছন দিকে গিয়ে দাড়ালো। তার বুক টিপ চিপ করচে-ছুটে যে একদিকে পালাবে এ তেমন জায়গাও নয়। তখনও লোকটা q(q ft মতি চেচিয়ে উঠে বললে-কেমন নোগ গা তুমি ? ঠেলে আসচে যে ইন্দিকি বড়ো ? কাপালী-বেী এসময়ে আরও পিছিয়ে গিয়েচে । কারণ কাছাকাছি এসে লোকটা ওর দিকেও একবার কাটুমটু করে চেয়েচে-মুখে কিন্তু লোকটা কোন কথা বলে নি। এদিকে অনঙ্গ-বৌয়ের মুশকিল হয়েচে, ছুটে পালাতে গিয়ে ওর চুল জড়িয়ে গিয়েচে শেয়াকুল কঁাটায় আর কুঁচ লতায় । বসন হয়ে গেছে বিস্রস্ত। ঘেমে ও পরিশ্রমে মুখ হয়েছে রাঙা। লোকটা ওর দিকে যেন অগ্নিশিখার দিকে GSR